চার মিডিয়াকে আইনি নোটিশ পাঠাল জায়েদ খানকে পুরস্কৃত করা প্রতিষ্ঠান

জায়েদ খানকে পুরস্কৃত করা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ’ (আইপিপিডিআর) এবং এর প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রিস বেস সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশের ৪টি গণমাধ্যমকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সাপ্তাহিক নিউজ পোর্টাল ব্লিটজ, বিজয় টিভি, দেশ টিভি ও কালবেলা এন্টারটেইনমেন্টের সম্পাদক, নিউজ এডিটর এবং সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) আইপিপিডিআরের প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রিস বেসের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

নোটিশে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষা, গবেষণা ও জলবায়ু উন্নয়ন ছাড়াও বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘আইপিপিডিআর’। এর ধারাবাহিকতায় সেবামূলক কাজে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের সম্মাননা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন ব্যক্তিকে হিউমেনিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাপ্তাহিক নিউজ পোর্টাল ব্লিটজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত আইপিপিডিআরের কার্যক্রম, গ্রহণযোগ্যতা, অ্যাওয়ার্ডের বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে এবং আইপিপিডিআরের প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রিস বেসের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ নানা ব্যক্তিগত বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে। নিউজ পোর্টাল ব্লিটজকে বরাত দিয়ে বিজয় টিভি, দেশ টিভি ও কালবেলা এন্টারটেইনমেন্ট একইরকম সংবাদ প্রচার করে।

নোটিশে বলা হয়, ওই মিথ্যা সংবাদগুলোর কারণে আইপিপিডিআর ও এর প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রিস বেসের বিশ্বব্যাপী সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে উল্লিখিত সংবাদগুলো প্রত্যাহার করে নিতে, নোটিশের বক্তব্য প্রতিবাদ আকারে প্রকাশ করতে এবং পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.