ব্রিকসে মোদীর সঙ্গে শি ও হাসিনার বৈঠক হবে?

সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদী তিনদিনের জন্য সেখানে যাচ্ছেন। চীন জানিয়েছে শি জিনপিংও যাবেন। কোভিড-পরবর্তীকালে এই প্রথম শীর্ষনেতারা সশরীরে ব্রিকসের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে।

এদিকে মোদীর সঙ্গে তাদের বৈঠক হবে কি না এ বিষয়ও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পর্যন্ত এই বৈঠক নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনো কথা জানায়নি। আর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচি এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে।’

ফলে এই বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে না দিলেও, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে এমন কোনো কথাও পররাষ্ট্র সচিব বলেননি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ব্রিকস বৈঠকে যোগ দিতে আজ জোহানেসবার্গ যাচ্ছেন। সেখানে মোদীর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা আছে।

গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘এই সম্মেলনের ফাঁকে আমরা বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। শেষ মুহূর্তে বৈঠকগুলো চূড়ান্ত হওয়ায় এগুলো এখন প্রক্রিয়াধীন আছে।’

ব্রিকস মানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও সাউথ আফ্রিকা। এছাড়া বাংলাদেশের মতো বেশ কিছু আমন্ত্রিত দেশের শার্ষনেতারাও সেখানে য়োগ দেবেন। এবার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে।

যদি ব্রিকসের মূল বৈঠকের ফাঁকে মোদী-শি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, তাহলে ২০২০ সালে লাদাখ সংঘাতের পর এই প্রথম দুই নেতার বৈঠক হবে। গত নভেম্বরে বালিতে জি২০ শীর্ষবৈঠকে মোদী এবং শি-র মধ্যে সামান্য কথাবার্তা হয়েছিল। তবে সেটা কোনো বৈঠক ছিল না। এদিকে পূর্ব লাদাখের দেপসাং ও দেমচোকে দুই দেশের সেনার মধ্যে আস্থা বাড়ানোর জন্য বৈঠক অব্যাহত আছে। স্থানীয় কম্যান্ডার পর্যায়ের আলোচনা চলছে। গত ১৩ ও ১৪ অগাস্ট তারা ১৯তম বৈঠক করেছেন।

বাংলাদেশে নির্বাচন আসছে। তার আগে মোদী ও হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলে তা রীতিমতো গুরুত্ব পাবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এনডিটিভি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.