শক্তিশালী পুঁজিবাজার বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য – ডিএসই চেয়ারম্যান

ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, শক্তিশালী পুঁজিবাজার বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য৷ আর উন্নয়ন ও উত্পাদন কর্মকান্ডে গতিশীলতা এলে বিদেশী বিনিয়োগ পুঁজিবাজারমূখী হতে উত্সাহিত হয়৷ দেশের শেয়ারবাজার এখন অনেক পরিণত, তাই উদীয়মান পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিয়ে শেয়ারবাজারে জমে ওঠা বিপুল পরিমাণ মূলধনের একাংশ উত্পাদনশীল খাতে স্থানান্তর করে অর্থনীতির মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করা প্রয়োজন৷

আজ (২১ আগষ্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি ত্বরান্বিত করা এবং পুঁজিবাজার উন্নয়নে মানসম্পন্ন আইপিও আনতে “মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সাথে তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত সমন্বয় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু এসব কথা বলেন।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট মোঃ ছায়েদুর রহমান৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ছামিউল ইসলাম।

শোকাবহ আগস্ট মাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং একই সাথে রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ইতিবাচক থাকার কারণে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে৷ আর এজন্য পলিসি সাপোর্টের দিকে না তাকিয়ে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে৷ এ বিষয়ে পূর্বে আপনারা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন ভবিষ্যতেও আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ পুঁজিবাজারকে একটি শক্ত অবস্থানে নিবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস৷

তিনি কোম্পানি তালিকাভুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, এশিয়ার অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের তুলনায় বাংলাদেশে মার্চেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি থাকা সত্বেও গত কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারে ভালো মানের আইপিও তালিকাভুক্তি হয় নাই৷ বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক কাজ করছে৷ কিন্তু নতুন আইপিও আনার অনুপাত অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম৷ ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ২১৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক আছে এবং সেখানে ২২১৩টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩টি  মার্চেন্ট ব্যাংক ৫২৪টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত করেছে৷ বোরসা মালয়েশিয়ার ও কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জে ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অনুযায়ী গড় তালিকাভুক্ত কোম্পানি যথাক্রমে ২৪ এবং ১২টি৷ ডিএসই গড় মাত্র ৫টি। আরও অধিক আইপিও আনতে আমাদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে এবং ইস্যু ম্যানেজারদের সক্রিয় হতে হবে। এ বিষয়ে যেকোন ধরণের সহযোগিতা ডিএসই করবে এবং সুন্দর আগামীর পুঁজিবাজার গঠনে আমরা একসাথে কাজ করবো।

প্রাইভেট বন্ড সম্পর্কে ড. হাসান বাবু বলেন, ১৬,৮৬০ কোটি টাকা মূল্যের ৪২টি প্রাইভেট বন্ড এটিবি প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ছোট পুঁজির প্রয়োজনে এসএমই প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরকে কিভাবে পুঁজিবাজার মুখী করা যায় এবং কিভাবে পরামর্শ সেবা দেয়া যায় সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে কাজ করতে চাই৷

কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বাধা রয়েছে যেমন-উদ্যোক্তাদের মানসিকতা, আমলাতন্ত্র, সঠিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, আইপিওর দীর্ঘসুত্রতা, বহুজাতিক কোম্পানির ক্ষেত্রে মূল দেশ থেকে তহবিল প্রাপ্তি, রাজস্ব গোপন করার প্রবণতা, নীতির অসামঞ্জস্যতা, কর বৈষম্য, ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজে ঋণ ইত্যাদি৷ আজকের বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ উঠে আসবে এবং সে অনুযায়ী আমরা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করব। এছাড়াও অঞ্চলভিত্তিক রোড শো আয়োজনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাগণকে তাদের ভাল কোম্পানির তালিকাভুক্ত করতে উত্সাহিত করব৷ এক্ষেত্রে একটি নতুন কর্ম কৌশল নিয়ে কাজ করতে FID, BB, BSEC, Stock Exchange, BMBA, ICAB এবং FRC-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে৷

চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের সমস্যা একদিন আলোচনা বা সেমিনার করে সমাধান করা সম্ভব নয়। নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর অনেকগুলো বিষয়কে দেখতে হয়। এ অবস্থায় আমাদের একটি মাল্টিডাইমেনশন বডি তৈরি করা উচিত, যারা বাজারের সঠিক পর্যালোচনার মাধ্যমে কিভাবে মার্কেটকে উঠানো যায় সেই দিক নির্দেশনা তৈরি করবে, যেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা দিতে পারবো।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, যদি আমরা শুধু নিজেদের সমস্যা সমাধান করি তাহলে মার্কেটকে ভালো করা যাবে না। পুরো মার্কেটকে সামনে রেখে আমরা যদি একটি গাইডলাইন তৈরি করি, বিভিন্ন আইনের দুর্বলতাগুলোকে যদি এক জায়গায় এনে সমাধান করি তাহলেই কেবল পুরো পুজিবাজারে উন্নয়ন হবে।

জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদানের কথা প্রসঙ্গে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বাজারের গভীরতা অর্জনে ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি দ্রুত তালিকাভুক্ত করণের কোন বিকল্প নেই। আর এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অবদান রাখতে হবে৷ এ কাজগুলো করতে পারলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে৷ পুঁজিবাজারের সেতুবন্ধক হিসেবে আপনারা বাজারে বিনিয়োগকারী ও কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রত্যাশিত পুঁজিবাজার গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন৷

পরে কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রমের বর্তমান পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাজারের প্রত্যাশা, ভালো মানের আইপিও আনার সুযোগ এবং বাধা, মূল মার্কেট, SME মার্কেট এবং ATB মার্কেটের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং পারস্পারিক সহযোগিতা, সচেতনতা প্রোগ্রাম ও পুজিবাজারের বিস্তৃতি পেতে উদ্যোক্তাসহ কোম্পানির CFO এবং COO দের আকৃষ্ট করা, যৌথ প্রচারণা বা মেলা,  পুঁজিবাজারকে উত্সাহিত করতে সরকারকে অবহিত করা এবং চাহিদা ও যোগান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দ্বারা সেক্টর ভিওিক কাজসহ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়৷

তার আগে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম সাইফুর রহমান মজুমদার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন৷ স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিএসই পুঁজিবাজারের সকল মার্চেন্ট ব্যাংকার্স প্রতিনিধি বৃন্দের সাথে তালিকাভুক্তি সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করছেন মূলত: বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি তথা ভাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উত্‌সাহিত করার লক্ষ্যে৷ মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে ভাল ভাল কোম্পানি তালিকাভূক্ত করা। যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে  প্রতি আকৃক্ট করে। ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য সময়োপযোগি ব্যবসায়িক  মডেল তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ  করেন৷

ডিএসই পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করে আসছে। আমরা ইতোমধ্যে বিজিএমই এর সাথে বৈঠক করেছি। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা তাদের সাথে একটি এমওইউ করবো। আমরা হয়তো প্রাথমিক ভূমিকা নিব। কিন্তু কোম্পানিগুলোকে পরবর্তীতে পটেনশিয়াল ইস্যুয়ারদের সাথে কাজ করার জন্য, অ্যাডভাইজারি সার্ভিস এবং তাদের প্রস্তুত করার এ কাজটি কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন যাদের রয়েছে তাদের কাজ। আমি আশা করি এ বিষয়ে আপনারা এক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনাদের ব্যবসা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আপনারা পুঁজিবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রেসিডেন্ট মোঃ ছায়েদুর রহমান বলেন, ছায়েদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে যখন প্রস্তাব দেয়া হয়, তখন কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে তাদের লাভ কি সে বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো তাদেরকে লাভের বিষয়ে বলতে পারে না। কারণ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোই জানে না যে তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানিগুলোর কি লাভ হবে। বাজারে তালিকাভুক্তী ও বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে এবং তাদেরকে বেশ কিছু বিষয় বুঝানো হয়েছে। দীর্ঘদিন বুঝানোর ফলে বিএসইসি অনেক কিছু আমলে নিলেও এনবিআর এখনো কোনো বিষয় আমলে নেয়নি। ফলে তালিকাভুক্ত হলে কোনো লাভ হবেনা দেখে কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে কোম্পানিগুলো ব্যাংক নির্ভরতা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে কোম্পানির এক দেড় বছর সময় লাগে। কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সময় লাগে দুই থেকে তিন মাস। সেক্ষেত্রে সরকারের পলিসি থেকে উদ্ভুদ্ধ করানো না যায়, তাহলে তালিকাভুক্ত বাড়ানো যাবে না। সরকারী হিসেবে কোম্পানি আছে ২ লাখের বেশি, যার মার্কেটে আছে ৩৫০ টি কোম্পানি যা ২ শতাংশের কম। কারণ তাদের তালিকাভুক্ত হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তিন বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায়, সময় বেশি লাগলেও বর্তমানে পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বেশি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকের অবস্থার উন্নয়ন করতে পারলে আইপিও বাড়বে। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে বাধাগ্রস্থ হয়। তাদেরকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু তারা অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা পায় না এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গন্য করা হয় না। এসময় তিনি তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের ব্যবধান বাড়ানোর বিষয়টি এনবিআরকে আবারো বিবেচনা করার আহবান জানান।

এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, লংকা বাংলা ইনভেস্টমেন্ট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আলম, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেনারেল ম্যানেজার মাজেদা খাতুন, আইডিএলসি ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজা উদ্দিন আহমেদ, এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড-এর পরিচালক মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।

পরিশেষে ধন্যবাদ প্রদান করেন, মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন-এর সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক মোঃ ছামিউল ইসলাম।

 

অর্থসূচক/এমআর/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.