বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধ শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা

প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ। বৈদেশিক ঋণের চাপে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা সময়মতো ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি। এরপর কয়েকবার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। অবশেষে দেশটি ৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে।

বিষয়টি অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিলো বাংলাদেশ। ঋণের মধ্যে ৫ কোটি ডলারের একটি কিস্তি দেশটি পরিশোধ করেছে। বাকি অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে আশা করছি।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা মেটাতে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের কাছে ঋণ চায়। এরপর ২০ কোটি ডলার ঋণ দিয়ে তখন দেশটির পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিলেও পরে কয়েক কিস্তিতে ২০ কোটি ঋণ ডলার দেয়। ‘কারেন্সি সোয়াপ’ ব্যবস্থায় নেওয়া এ ঋণ পরিশোধের কথা ছিল তিনমাসের মধ্যে। এ ঋণের ক্ষেত্রে লাইবর রেটের সঙ্গে ২ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়।

তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয় ওই বছরের ৩০ অক্টোবর। এরপর ৫ কোটি ডলার দেওয়া হয় নভেম্বরে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি। পরে কয়েক দফা সময় চায় তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে দেয়। সবশেষ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.