নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নয় লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তফসিল ঘোষণার পরে এসব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সোমবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য নির্বাচনের প্রশিক্ষণসূচি অনুমোদন হয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুতের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে। প্রশিক্ষণ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। আগের চেয়ে বাড়বে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালের অর্ডিন্যান্স বাংলায় রূপান্তর করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আজ অনুমোদিত হয়েছে। ভেটিংয়ের পর সংসদে যাবে। সবই আগের মতোই আছে।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন সিইসি সেই সুবিধা পাবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা সেই সুবিধা পাবেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বিধিমালা সংশোধনের ক্ষেত্রে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র বাধ্যতামূলক হবে না, তবে আমরা উৎসাহিত করবো।
তিনি বলেন, বৈঠকে আরেকটি বিষয় অনুমোদিত হয়েছে। মাঠপর্যায়ে যখন যে নির্বাচন হবে তখন যারা দায়িত্বে থাকবেন তারা আপ্যায়ন ভাতা পাবেন।
বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের জন্য যুবলীগের করা আবেদনের বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নিবন্ধন বাতিল অনেকেই চাইতে পারেন। তবে, যে আইন আছে তা দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.