ডিজিটাল ব্যাংক: আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ রাতে

ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের জন্য আবেদন করার সময় আজ রাতেই শেষ হচ্ছে। রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের পর আর কোন ডিজিটাল ব্যাংকের আবদেন গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ওয়েবপেজ খুলেছে। প্রথম দফায় গত ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। এরপরে আরেক দফা সময় বাড়িয়ে আজ ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করার সময় নির্ধারণ করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক অর্থসূচককে বলেন, ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের জন্য আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। এরপরে আবেদনের জন্য সময় বাড়ানো হবে না।

জানা যায়, ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক একক ভাবে আবেদন করেছে। এছাড়া ব্যাংক খাতের আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি মিলে কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। একই লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানিও কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে। ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোও আগ্রহ দেখিয়েছে।

প্রথম দফায় আবেদনের সময় শেষ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিলো, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদনের লক্ষ্যে সব আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিল সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।

সম্প্রতি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না। মুঠোফোন অথবা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই গ্রাহকদের ব্যাংক সেবা দেওয়া হবে। এটি গঠনে বিনিয়োগ করতে হবে ১২৫ কোটি টাকা, আর ব্যাংকের পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য একটি প্রধান কার্যালয় থাকবে। তবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন; অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এর নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপনির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা মিলবে।

গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না। অবশ্য এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। তারা বড় ও মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দিতে পারবে না, শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.