মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধায় স্থানীয় জনতা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করেছে। তারা সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন।
সোমবার আসগরাবাদ সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট কর্মধার পূর্ব টাট্রিউলি এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে জঙ্গি আস্তানা থেকে পালানো চিকিৎসক সোহেল তানজিমের স্ত্রীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে তিনটি শিশুও ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘শনিবার (১২ আগস্ট) যেসব জঙ্গিদের আটক করা হয়েছিল তারা বলেছেন, তাদের সঙ্গে আরও অনেকে এ পাহাড়েই আত্মগোপনে আছেন। পরে আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে তদন্ত করতে থাকি। সীমান্তবর্তী কর্মধা, ফুলতলা ও সাগরনাল এলাকায় মানুষ সেট করে রাখি। রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে আমার ছেলের কাছে কয়েকজন নারী-পুরুষ ফুলতলা বর্ডার কোন দিকে জানতে চান। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে সে বাজারের দিকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়। পরে সে আমাকে বিষয়টি জানায়।’
তিনি বলেন, আজ সকালে তারা পাঁচটি সিএনজিতে করে অন্যত্র গমনের চেষ্টা করছিল। এসময় সাধারণ জনতা তাদের আটক করে আমার কাছে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। তারা বর্তমানে আমার হেফাজতে ইউনিয়ন পরিষদে আছেন। পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুছ ছালেক বলেন, জঙ্গি সন্দেহে ১৭ জনকে আটক করে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন স্থানীয়রা।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মঞ্জুর রহমান জানান, খোঁজ-খবর নিয়ে যাছাইবাছাই শেষে বলা যাবে আটকরা কারা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.