হাওয়াইয়ে মৃত্যু বেড়ে ৯৩, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত

হাওয়াইয়ের মাউইতে দাবানলের ফলে পুড়ে ছাই অনেক এলাকা। এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। মাউইতে প্রশাসন কি দাবানল নিয়ে কোনো আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছিল? এরকম জরুরি পরিস্থিতিতে তারা কখন, কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

অনেক বাসিন্দাই বলেছেন, তারা কোনো আগাম বিপদসঙ্কেত পাননি। জনপ্রতিনিধি তকুদা বিবিসি-কে জানিয়েছেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব পাওয়া দরকার। যা হয়েছে তাতে মানুষ ক্ষুব্ধ। তাদের ক্ষোভের ন্যায্য কারণ আছে।’

আগুন এখন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনো বেশ কিছু জায়গায় ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মৃতদেহ খোঁজার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য প্রশিক্ষিত কুকুরের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।

পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, ‘মাত্র তিন শতাংশ এলাকা আমরা খুঁজে দেখতে পেরেছি। আমরা জানি না, যখন কাজ শেষ করব তখন বিপর্যয়ের মাত্রাটা বুঝতে পারব।’

মাউইয়ের ওয়ার মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স এখন ত্রাণশিবিরে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। সেখানে সমানে মানুষ আসছেন। কাদের তারা খুঁজে পাচ্ছেন না, কাদের পেয়েছেন, সেটা জানাচ্ছেন। ত্রাণশিবিরে সবচেয়ে বেশি চাহিদা হলো, ব্যাটারি, জেনারেটর ও পানীয় জলের। সেখানে বড় বড় করে লিখে রাখা হয়েছে, ‘আর পোশাকের প্রয়োজন নেই’।

হেলিকপ্টার নিয়ে ত্রাণের কাজ করা পাইলট রিচার্ড ওলসটেন বিবিসি-কে বলেছেন, ‘বন্দরে থাকা নৌকাগুলো পর্যন্ত পুড়ে গেছে বা ডুবে গেছে। চার্চ-সহ যত ঐতিহাসিক ভবন ছিল, সব পুড়ে গেছে। পর্যকদের সবচেয়ে পছন্দের রাস্তায় সব রেস্তোরাঁ ও বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’

এখনো পর্যন্ত এই আগুনের ফলে ৯৩ জন মারা গেছেন। শতাধিক মানুষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারা যাচ্ছে না। প্রচুর মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

হাইয়াইয়ের গভর্নর জোশ গ্রিন বলেছেন, ‘মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে। যাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের পরিচয় বের করার চেষ্টা চলছে। হাওয়াইয়ের ইতিহাসে এমন দিন আগে কখনো আসেনি। ,সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছি আমরা।”

গ্রিনের বক্তব্য, ‘আমরা বেঁচে থাকা মানুষদের সাহায্য করছি। তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েছি। আহতদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। যারা পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন, তাদের এক করার কাজ চলছে। এরপর আমরা তাদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করব। তারপর মাউইকে আবার গড়ে তোলার কাজ করব।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.