দেশের মানুষের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অধিকাংশ সময় তিনি জেলে কাটিয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন বছরে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বলে জানান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মো. সায়েদুর রহমান।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ছিলো শুক্রবার। সেদিন হত্যাকারীরা ৪ ভাগ হয়ে এসে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। এটি ছিলো পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এদেশের মানুষকে সুখে রাখতে শেখ মুজিবের অনেক স্বপ্ন ছিলো। সেই স্বপ্ন ব্যর্থ করতেই তাকে হত্যা করা হয়। তার ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন দেশ নিজস্ব ধ্যান-ধারনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো। এটা অনেকের সহ্য হয়নি, তারাই সেদিন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো। তবে এই হত্যাকন্ড স্বার্থক হয়নি। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যায় শেখ মুজিব কেন স্বাধীন হতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি এদেশ থেকে অনেকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। তবে সেটা কখনো সম্ভব হয়নি। এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টের তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন বিএসইসির এই কমিশনার।

বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষীকি উপলক্ষ্যে আলোচনা করার মতো যোগ্যতা আমাদের নেই। পত্রিকা ও বিভিন্ন মাধ্যমে তার সম্পর্কে আমরা জেনেছি। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে তিনি লেখাপড়া শেষ করেন। ১৯৪৩ সালে বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিভিন্ন সময়ে তিনি জেলখানা থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা চালায়। একই রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বিদেশিদের চাপে তাকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। এরপরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ই আগস্টের তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন সায়েদুর রহমান।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.