বিএনপি দেশ তথা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

দেশবাসীকে বিএনপি-জামায়াত চক্র সম্পর্কে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা দেশ তথা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায় । খুনী, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, গ্রেনেড হামলাকারী, দশ ট্রাক আগ্নেয়াস্ত্র চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন, যেহেতু বিএনপি দেশকে ধ্বংস করার তৎপরতা চালাচ্ছে।’

শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে দেয়া সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাটি সঞ্চালনা করেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি ও কাজী জাফরউল্লাহ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করতে নেমেছে। বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’

বিদেশি শক্তি সঙ্গে রয়েছে বিএনপির এ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো বিদেশি শক্তি নেই, কেননা লুটেরাদের পাশে কেউ থাকতে পারে না । তারা দাবি করে, তাদের আন্তর্জাতিক শক্তি আছে। আমরা জানতে চাই কোন শক্তি তাদের পাশে আছে? লুটেরাদের সাথে কেউ থাকবে না।’

বিএনপির ১৯৯১-’৯৬ এবং ২০০১-’০৬ এর শাসনামলকে ‘অন্ধকার যুগ’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা ক্ষমতায় এলে দেশ আবার অন্ধকারের যুগে ফিরে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ পেছনের দিকে ধাবিত হয়। ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের কারণে জনগণের দ্বারা সরকার থেকে উৎখাত হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার উচ্ছেদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি’র তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘বিএনপি কিভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে যেখানে ভোট কারচুপির জন্য তারা সরকার থেকে উৎখাত হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ৩০ মে সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল বিএনপি। তাঁর দল দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে এবং ক্ষমতায় আসতে তাদের ভোট কারচুপির প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে এবং এভাবেই দেশবাসীর মন জয় করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোটে কারচুপির প্রয়োজন হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সাল নাগাদ দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে এই ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, শুধুমাত্র পাগল এবং শিশুরা নিরপেক্ষ। বিএনপি কি তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য পাগল এবং শিশুদের খুঁজে বের করতে পেরেছে?’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.