আইসিএমএবিতে ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) শুক্রবার (১১ আগস্ট) সদ্য ভর্তি হওয়া সিএমএ শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, তাদের উদ্বেগ দূরীকরণ এবং তাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে দিনব্যাপী ফ্রেশার্স ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএমএবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান কাউন্সিল সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্ অনুষ্ঠানে সদ্য ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থী, কাউন্সিল সদস্য ও অন্যান্যদের স্বাগত জানিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।
একাডেমিক ব্রিফিং সেশনে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এফসিএমএ বলেন, একজন নবীন শিক্ষার্থীকে সিএমএ যোগ্যতা অর্জন করতে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সফল সিএমএ হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের আইসিএমএবিতে জোটবদ্ধ সংস্কৃতি অনুসরণ করে সংযুক্ত থাকার অনুরোধ জানান। একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ জাকারিয়া মাসুদ এফসিএমএ একাডেমিক এবং দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির উপর একটি বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, যা নতুনদের তাদের নতুন একাডেমিক পরিবেশে চলতে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সিএমএ প্রোগ্রামে যোগদানের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। প্রফেসর মমতাজ দেশের পেশাদার হিসাবরক্ষকের প্রয়োজনীয়তার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেন। অন্যান্য বক্তাদের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করে তিনি সিএমএ যোগ্যতার বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন, যা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আইসিএমএবি এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ এবং বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর ইলিয়াস আহমেদ এফসিএমএ ‘মিট দ্য কর্পোরেট লিডারস’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর ডিজিএম জিল্লুর রহমান এফসিএমএ সম্ভাব্য অধ্যয়ন, সময় ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং সিএমএ যোগ্যতা অর্জনের জন্য একটি সফলতার রূপরেখা তুলে ধরেন।
এস.এম. জহির উদ্দিন হায়দার এফসিএমএ এর সঞ্চালনায় পরিচালিত ‘রিভিজিটিং দ্য মেমরি লেন’ অধিবেশনে ফাহমিদ ওয়াসিক আলী এফসিএমএ, সুভাষ চন্দ্র দাস এফসিএমএ, সাইফুল ইসলাম এফসিএমএ, সানাউল্লাহ ফাহিম এসিএমএ এবং হাসিবুল ইসলাম এসিএমএ সিএমএ যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে নবাগতদের অবহিত করেন।
ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ যথাক্রমে মোঃ কাউসার আলম এফসিএমএ ও মোঃ আখতারুজ্জামান এফসিএমএ, সিএমএ পরিবারের দৃঢ় বন্ধন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন এবং একেএম জসিম উদ্দিন এফসিএমএ তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন।
আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ দিনব্যাপী প্রোগ্রামে নবীনদের সহনশীলতার সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি নতুন ব্যাচের প্রতি তাঁর আস্থা ব্যক্ত করেন এবং আশ্বাস প্রদান করেন যে, ইনস্টিটিউট তাদের সিএমএ যাত্রার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। তিনি শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী প্রোগ্রামের বিভিন্ন সেশনে দেয়া বার্তাগুলি গ্রহণ করার জন্য এবং প্রকৃত অর্থে পেশাদার হওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তা পরিকল্পনা করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত ও কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে বৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ. এফ. মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এবং জামাল আহমেদ চৌধুরী এফসিএমএ স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড ফান্ডের অধীনে বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধান অতিথি ও কাউন্সিলের অফিস বেয়ারারগণ। প্রয়াত মোজাফফর আহমেদ এফসিএমএ’র স্ত্রী প্রফেসর ড. এতমিনা আহমেদ, মুজাফফর আহমেদ মেমোরিয়াল (আইসিএমএবি) ট্রাস্টের বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে চেক হস্তান্তর করেন। বর্ণাঢ্য ফটো সেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.