ইউক্রেনের দনেৎস্ক অঞ্চলের পক্রভস্ক শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১ জন। পরপর দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র এই শহরের আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। একটি পাঁচতলা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ ধ্বসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়েন।
সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা ভিডিও ও ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, বাড়িটি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। একটি অ্যাম্বুলেন্স সেখানে আছে।
ইউক্রেনেরস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে চারজন সাধারণ মানুষ মারা যান। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী মারা যান।
দনেৎস্কের গভর্নর জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি হোটেল, একটা পাঁচতলা বাড়ি এবং আরো কিছু কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন পূর্ব ইউক্রেনে কোনো কিছুই ছাড়ছে না। সবকিছুই তারা গুঁড়িয়ে দিতে চাইছে। তিনি অনলাইন বার্তার সঙ্গে পাঁচতলা বাড়ির ভিডিও দিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির একটা তলা পুরো ভেঙে গেছে। বাকিটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুদ্ধের আগে এই শহরে ৬০ হাজার মানুষ থাকতেন।
একদিন আগেই , সৌদি আরবের জেদ্দায় ৪০টি দেশের প্রতিনিধি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার পথ খুঁজতে আলোচনায় বসেছিলেন। তারপরেই এই আক্রমণ হলো। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবের আলোচনা অর্থহীন। কারণ, সেখানে মস্কো ও কিয়েভকে ডাকা হয়নি।
রাশিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ১৭ মাসের এই লড়াই শেষ করার জন্য রাজি। তবে তাদের দাবি, প্রস্তাবে রাশিয়ার দাবি মানতে হবে। এই দাবি হলো, ইউক্রেনের যে সব এলাকা রাশিয়ার অধিকারে আছে, তা তাদের এলাকা বলে মেনে নিতে হবে। এর মধ্যে ক্রাইমিয়াও আছে। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের দাবি, রাশিয়াকে সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করতেই হবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.