আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে লাগবে আঙ্গুলের ছাপ

ঋণের বিষয়ে জামিনদার কিছুই জানেন না। আবার হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। এসব ঘটনায় ঋণ আদায় না করতে পেরে বিপাকে পড়ছে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে ঋণ জালিয়াতি ঠেকাতে গ্রাহক ও জামিনদারের স্বাক্ষরের পাশাপাশি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ঋণ বিতরণের আগে ঋণ চুক্তি সম্পাদন, গ্যারান্টি সংশ্লিষ্ট চার্জ ডকুমেন্টেশন সম্পাদন, জামানতের উপর চার্জ ক্রিয়েশন ও সহায়ক জামানতের বন্ধকী প্রক্রিয়া সম্পাদন করাসহ সকল ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পাদন করার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

ঋণ গ্রহীতা ও ধরণভিত্তিক এবং ঋণের জামানত ভিত্তিক চার্জ ডকুমেন্টের তালিকা থাকে, যেখানে ঋণ গ্রহীতা এবং তৃতীয় ব্যক্তি ও পক্ষের স্বাক্ষর নিতে হয়। কিন্তু হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক, সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে বেশ কিছু রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ঋণ গ্রহীতারা এবং ঋণের জামিনদাতা উভয়ে যথাক্রমে ঋণগ্রহণ এবং জামিনদার হওয়া সংক্রান্ত দলিলে স্বাক্ষর দেননি ব‌লে জানান। এর ফলে ঋণ আদায়ের আইনগত প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হচ্ছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা নিরসনে ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে গৃহীত ও গৃহীতব্য চার্জ ডকুমেন্টসের বিষয়বস্তু ঋণ গ্রহীতা এবং জামিনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট ৩য় ব্যক্তি ও পক্ষকে পড়ে শুনানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একইস‌ঙ্গে ডকুমেন্টগুলো স্বাক্ষরের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পাশাপাশি তাদের উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত ডেটাবেইজ থেকে যাচাই কর‌তে হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.