বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ ব্র্যাক ব্যাংকের

সাবসিডিয়ারি এমএফস প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ এর প্রস্তাবিত ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ তে বিনিয়োগ করতে চায় ব্র্যাক ব্যাংক। পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

সোমবার (৩১ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন ব্যাংকটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি পেলে ডিজিটাল ব্যাংকে বিনিয়োগে যাবে ব্র্যাক ব্যাংক।

জানা যায়, সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্টান বিকাশের মালিকানার ৫১ শতাংশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের। এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশের মালিকানায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের খোলা ওয়েবপোর্টালে আবেদন না করলেও যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ‘বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি’ নামের ছাড়পত্র নিয়েছে বিকাশ। এ নামেই পেতে চাচ্ছে বিকাশের ডিজিটাল ব্যাংক।

উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হতে হবে ডিজিটাল ব্যাংকের, প্রচলিত ব্যাংকের যেখানে পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা।

কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকার শেয়ার ধারন ধাকতে হবে উদ্যোক্তো হতে চাইলে। ডিজিটাল ব্যাংকের ব্যবসা শুরুর পর ৫ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হতে হবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) এর মাধ্যমে। তবে এখানে শর্ত দেওয়া হয়, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ উদ্যোক্তাদের সরবরাহ করা প্রাথমিক মূলধনের কম হতে পারবে না।

অর্থাৎ আইপিও’র মাধ্যমে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকা বা ওই সময়ে উদ্যোক্তাদের সরবরাহকৃত অর্থের সমপরিমাণ মূলধন সংগ্রহ করতে শেয়ার ছাড়তে হবে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাঝে।

উদে্যক্তাদের শেয়ার ৩ বছরের পূর্বে হস্তান্তর করতে অনুমোদন দিতে পারবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডিজিটাল ব্যাংকের বেলায় কিছু বিশেষ নির্দেশনার অনুসরন থাকলেও ব্যাংকিং সংক্রান্ত প্রচলতি ব্যাংকের পরিপালনীয় নীতিমালার পুরোটাই মানতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রচলিত ব্যাংকের মতোই ব্যাসেল-৩ অনুসরণ, সিএসআর নীতি মানা, ঋণ আমানত অনুপাত, খেলাপী ঋণের শ্রেণিকরণ, বিধিবদ্ধ জমা, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ, ক্রেডিট রিক্সসহ যাবতীয় নিদের্শনা মেনে চলতে হবে। এছাড়াও সময়ে সময়ে যেসব নির্দেশনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক জারি করবে তাও মানতে হবে।

 

অর্থসূচক/এমএইচ/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.