১০ হাজার টাকা ঋণের জন্য গরিব কৃষকের কোমরে দড়ি পড়ে। আর বড় বড় খেলাপিরা ঋণ পরিশোধ ঠেকাতে আইনজীবী নিয়োগ করতে কোটি টাকা ঢালে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সোনালী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এমন মন্তব্য করে ঋণ খেলাপি বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ঋণ পরিশোধে আপত্তি জানানোর আবেদনের ওপর শুনানিতে এ মন্তব্য করা হয়।
এ সময় আদালতকে জানানো হয়, ১৯৯৭ সালে ‘ফজলুর রহমান অ্যান্ড কোং’ সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল আঞ্চলিক শাখা থেকে ৩২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফজলুর রহমান মারা গেলে ঋণ পরিশোধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে সোনালী ব্যাংক। পরে সুদসমেত ঋণ পরিশোধের অংক বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। এই টাকার বিপরীতে ২৬ বছরে মাত্র ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জেনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। পরে আবেদন খারিজ করে ঋণ পরিশোধের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.