হৃদয়ের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে জাফনার জয়

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) স্বপ্নের মতো অভিষেক হয়েছে তাওহীদ হৃদয়ের। নিজের প্রথম ম্যাচেই ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই টাইগার ব্যাটার। তার ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের পুঁজি পায় জাফনা কিংস।

জবাবে খেলতে নেমে ১৫২ রানে অল আউট হয়েছে কলম্বো স্ট্রাইকার্স। ফলে ২১ রানের বড় জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে জাফনা। এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি দলটি। দলীয় ২৭ রানেই তারা হারায় ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট।

এই আফগান ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২১ রান। খানিক বাদে ১২ রান করে ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশান মাদুশকা। চারিথা আসালাঙ্কাও তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। এরপর চতুর্থ উইকেটে প্রিয়ামাল পেরেরাকে নিয়ে ৪১ যোগ করেন হৃদয়।

প্রিয়ামাল ২২ রান করে ফিরে গেলে দুনিথ ওয়ালালাগেকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়েই ৩৭ বলে এলপিএলে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ৩৯ বলে ৫৪ করে শেষ হয় হৃদয়ের ইনিংস। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ১টি ছক্কা ও ৪টি চারের মার। হৃদয় ফিরলেও ওয়ালালাগের ২৫ ও ও থিসারা পেরেরার অপরাজিত ১৪ রানে বড় পুঁজি পায় জাফনা। কলম্বোর হয়ে একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, মাথিশা পাথিরানা, চামিকা করুনারত্নে ও লক্ষ্মণ সান্দাকান।

জবাবে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কলম্বো। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা। যদিও তাকে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষদিকে চামিকা ১৫ বলে ১৩ ও মেন্ডিস ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেললেও তা কলম্বোর জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। দলটির সবচেয়ে বড় তারকা বাবর আজমের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৭ রান। জাফনার হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন হারদুস ভিলজয়েন। ২টি করে উইকেট পান বিজয়কান্ত বিয়াসকান্ত ও দিলশান মাদুশঙ্কা। একটি উইকেট যায় থিসারার ঝুলিতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.