স্মিথ-টেলএন্ডারের বাজিমাতে অস্ট্রেলিয়ার লিড

১৭০ রানে ৬ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সপ্তম উইকেট হারায় ১৮৫ রানে। তখনও ইংল্যান্ডের চেয়ে ৯৮ রানে পিছিয়ে ছিল সফরকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে প্যাট কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে অজিদের টেনেছেন স্টিভ স্মিথ। ৭১ রান করে স্মিথ ফিরে গেলেও হাল ছাড়েননি কামিন্স ও টড মার্ফি। তাদের দুজনের ৪৯ রানের অনবদ্য জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১২ রানের লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ওভালে আগের দিনের ১ উইকেটে ৬১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন উসমান খাওয়াজা এবং মার্নাস ল্যাবুশেন। তবে তাদের দুজনের জুটিকে পঞ্চাশ পেরোতে দেননি মার্ক উড। ডানহাতি এই পেসারের দ্রুতগতির ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে থাকা জো রুটের কাছে ক্যাচ দেন ল্যাবুশেন। খানিকটা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুট দুর্দান্ত ক্যাচ নিলে ফিরতে হয় ৯ রান করা এই ব্যাটারকে।

শুরু থেকেই বেশ ভালো ব্যাটিং করেছিলেন খাওয়াজা। তবে তাকে হাফ সেঞ্চুরি করতে দেননি স্টুয়ার্ট ব্রড। ডানহাতি এই পেসারের ফুল অ্যান্ড স্ট্রেইট ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন খাওয়াজা। স্মিথের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় আলোচনা করে রিভিউ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি বাঁহাতি এই ওপেনার। ফলে ৪৭ রানে ফিরে যেতে হয় খাওয়াজাকে। দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং অ্যালেক্স ক্যারিরা। তাতে হঠাৎই ব্যাটিং ধস হয় অস্ট্রেলিয়ার। এদিকে ৪৩ রানে জীবন পান স্মিথ। রান আউটের সুযোগ থাকলেও জনি বেয়ারস্টো সঠিক সময়ে বেল ফেলতে না পারায় বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

জীবন পেয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টেনেছেন স্মিথ। অধিনায়ক কামিন্সকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করেন তিনি। মাঝে ৯৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেঞ্চুরির আগে ক্রিস ওকসের বলে বেয়ারস্টোর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭১ রান করা স্মিথ। এরপর মার্ফির সঙ্গে দারুণ এক জুটি কামিন্স। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। মাত্র ৩৯ বলে ৩৪ রান করা মার্ফি ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। শেষ ব্যাটার হিসেবে ৩৬ রান করা কামিন্স ফিরলে ২৯৫ রানে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাতে ১২ রানের লিড পায় সফরকারীরা। ইংল্যান্ডের হয়ে ওকস তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ব্রড, উড এবং রুট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.