সমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না: ডিএমপি

কালকের রাজনৈতিক জনসমাবেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আগামীকাল শুক্রবার একই দিনে ঢাকায় আওয়ামী লীগের তিনটি অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশ এবং বিএনপি মহাসমাবেশ করবে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে দুই বড় দলের কর্মসূচি নিয়ে সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপি থেকে দলগুলোকে সমাবেশের জন্য যে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এর বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। জনদুর্ভোগ এড়াতে দলগুলোর নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখতে হবে।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের পুলিশি ধরপাকড়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো পলিটিক্যাল পার্টি বা রাজনৈতিক দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযানে নামেনি পুলিশ। এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা সন্দেহভাজন বা নিয়মিত মামলার আসামি। অনেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ, এটি চলবে।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছিল। এবারও আশুরায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি চলছে, এরমধ্যে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একই দিনে ঢাকায় সমাবেশ। এ অবস্থায় যে কেউ বাইরে থেকে এসে অথবা কোনো কুচক্রী মহল যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ।

বড় দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ মুহূর্তে তেমন বড় কোনো থ্রেট নেই। তবে যেহেতু বড় দুটি দলের বড় সমাবেশ, যে কোনো কুচক্রী মহল বা যে কেউ সমাবেশের সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। এজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, র্যাব, এপিবিএন ও বিজিবি স্ট্যান্ডবাই থাকবে। আমরা সবসময় সতর্ক থাকবো, যেন কোনো দুষ্টচক্র কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে।

এসময় ডিএমপি কমিশনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার কোনোরূপ অবনতি হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

অর্থসূচক/এমএস

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.