বিএনপি সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র আনছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি অস্ত্র কিনছে তারা। চাপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটা ঘাটি।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্তের এপার থেকে খবর পাচ্ছি অস্ত্র কিনছে তারা। চাপাইনবাবগঞ্জ তাদের অস্ত্র সরবরাহের একটা ঘাটি। আগ্নেয়াস্ত্র এনে মজুত করছে। জনশক্তি তাদের কাছে শক্তি নয়। যারা অস্ত্র শক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়, জনশক্তির উপর তাদের আস্থা থাকার কথা না।

তিনি বলেন, আমাদের শোকের মাসের কর্মসূচি আমরা যখন নিতে যাই, তখনই বিএনপি বলে আমরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছি। কিছু মিডিয়াও বলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কথা। আমরা বলেছি আমরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। এখানে পাল্টাপাল্টি হলো কোথায়? পাল্টাপাল্টি হলো কিভাবে?

আওয়ামী লীগ সংঘাতের পক্ষপাতি নয় জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংঘাত করে যারা দূর্বল। আমরা সংঘাত করতে যাব কেন? আমরা কেন সংঘাত করবো? আমরা তো চাই সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু একটা নির্বাচন৷ এটা জাতির কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে আছে।

তিনি বলেন, ফখরুলের গলায় এখন অনেক পানি। দেখলে মনে হয় ভাল মানুষ, অথচ মুখে এত বিষ! কি বাজে ভাষায় বক্তিতা করেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের আর হেলায়-ফেলায় সময় কাটানোর সুযোগ নেই। নিস্ক্রিয় থাকার সুযোগ নেই। প্রোগ্রাম থাকলে যাব, অন্য ব্যাপারে মাথা ঘামাবো না। সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত।

কাদের বলেন, সংঘাত আমরা করবো না। মাঠে সক্রিয় থাকবো। যারা সংঘাত করতে আসবে, তাদেরকে প্রতিহত করবো। তারা খালি মাঠ পেলে সংঘত করবে। সে প্রস্তুতি তারা নিচ্ছে।

আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে এবং স্বচ্ছতা এসেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একেরপর এক পরিবর্তন এনেছেন, রুপান্তর এনেছেন। যার ফলে নির্বাচন ব্যবস্থা এখন স্বাধীন। এখন নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ নেই।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, কর্ণের অবসরপ্রাপ্ত মোঃ ফারুক খান, ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল; দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.