ইংল্যান্ডকে হতাশ করে জিতল বৃষ্টি, অ্যাশেজ অস্ট্রেলিয়ার

‘যদি সুযোগ পাই, তাহলে আমরা সব উজাড় করে দিয়ে চেষ্টা করব।’ দিনের শুরুতে স্কাই স্পোর্টসকে এমনটাই বলেছিলেন জো রুট। তবে বৃষ্টির কারণে সেই সুযোগটাই পেলেন না মার্ক উড- স্টুয়ার্ট ব্রডরা। বরং বৃষ্টির কাছেই যেন হেরে গেলেন তারা। বৃষ্টির আভাস ছিল আগে থেকেই। বেরসিক বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিন খেলা সম্ভব হয়েছিল মোটে ৩০ ওভার।

পঞ্চম ও শেষ দিনেও বৃষ্টি মাথায় করে নিয়েই মাঠে এসেছিল দুই দল। বৃষ্টি যতই বেড়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মুখের হাসি যেন ততই চওড় হয়েছে। তবে পুরোটা সময় হতাশায় পুড়েছেন বেন স্টোকসরা। বৃষ্টি না থামায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র ঘোষণা করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় অ্যাশেজ নিজেদের দখলেই রাখলো অস্ট্রেলিয়া।

বৃষ্টি না হলে পঞ্চম দিনে ৯৮ ওভার খেলা হওয়ার কথা ছিল। যেখানে ম্যানচেস্টার টেস্ট জিততে পুরো দিনে অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট তুলে নিতে হতো ইংল্যান্ডকে। সেটার অবশ্য সুযোগই পেল না স্বাগতিকরা। বৃষ্টির কারণে এদিন একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।

আগের ৩০ ওভার বোলিং করে মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। দারুণ ব্যাটিং করা মার্নাশ ল্যাবুশেন সেঞ্চুরি করেছিলেন। তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছোঁয়ার পর অবশ্য ল্যাবুশেনকে ফিরিয়েছিলেন রুট। এদিকে তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া মিচেল মার্শ টিকেই ছিলেন। শেষ বিকেলে মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন মিলে অস্ট্রেলিয়াকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি। যদিও খুব বেশি ওভার ব্যাটিং করতে হয়নি তাদের। কারণ বৃষ্টির কারণে তৃতীয় সেশনের ২৯ ওভার খেলা সম্ভব হয়নি। যা ক্রমশই হতাশ করেছে ইংলিশ ক্রিকেটার ও সমর্থকদের। ম্যানচেস্টারে প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

জবাব দিতে নেমে জ্যাক ক্রলির ১৮৯, রুটের ৮৪, জনি বেয়ারস্টোর অপরাজিত ৯৯ এবং হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী ও স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫৯২ রান করে ইংল্যান্ড। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২১৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ৬১ রানে পিছিয়ে থাকলেও বৃষ্টির কারণে খেলা না হওয়ায় ম্যাচটি ড্র হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.