ভারতীয় অধিনায়ক এমন কিছু শব্দ বলেছে যা আমি বলতে পারছি না: জ্যোতি

সিরিজে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে সিরিজ সমতায় শেষ করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে সিরিজ জিততে না পারলেও প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের ওপর ক্ষিপ্ত বাংলাদেশ দলপতি। ম্যাচ চলাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব ছিল ম্যাচের শেষেও।

মূলত আম্পায়ারিং ইস্যুতে চটেছেন হারমানপ্রীত। হারের পেছনে অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়ায় ‘প্যাথেটিক আম্পায়ারিং’ বলার পরও তার মেজাজ শান্ত হয়নি। দুই দলের একসঙ্গে ছবি তোলার সময়ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আরও কয়েকটি ছবি তোলার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। এই ম্যাচে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ দেখিয়েছে ভারতীয় দল। যার একটি অধিনায়ক হারমনপ্রীতের আউট। নিজের আউটের সিদ্ধান্ত না মেনে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন হারমানপ্রীত।

নাহিদা আক্তাররের বলে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে হারমানপ্রীত ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন। আম্পায়ারকেও ব্যাটে লাগার কথা ইশারা করে হয়ে যান। যদিও রিপ্লেতে পরে দেখা যায় বল তার প্যাডে লাগলেও আউট, এদিকে বল স্লিপে ক্যাচ নিয়ে নেন ফাহিমা। এলবিডব্লিউ বদলে পরে দেওয়া হয় ক্যাচ।

এসব কারণেই সংবাদসম্মেলনে নিগারের কাছে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়- কি কথা বলেন ভারতীয় অধিনায়ক সে সময়? উত্তরে তিনি বলেন, ‘সে এমন কিছু শব্দ বলেছে যা আমি বলতে পারছি না। এটা তো জেন্টালম্যান গেম, ওখানকার পরিবেশ এমন ছিল তাই দল নিয়ে সরে আসছি।‘

ম্যাচ রেফারির কাছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করবেন কি না? এমন উত্তর জানতে চাইলে নিগার বলেন, ‘এটা ম্যাচের বাইরের ঘটনা তাই এ নিয়ে আর অভিযোগ দিচ্ছি না। ম্যাচে যা হয়েছে তা দেখে আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত তো নেবেনই।‘

পুরস্কার বিতরণী আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতার মাঝেও নিজের মেজাজ হারিয়ে হারমানপ্রীত বলেছিলেন, ‘যেমন আম্পায়ারিং আজ হয়েছে তা অবাক করার মতন। পরেরবার বাংলাদেশে আসার আগে ভাবতে হবে আমাদের এই ধরণের আম্পায়ারিং সামলাতে হবে।’ ভারতীয় হাইকমিশনার মাঠে উপস্থিত থাকার পর তাকে পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে কেন রাখা হয়নি এই প্রশ্নও তুলতে দেখা যায় তাকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.