ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আছে, ইমারজেন্সি পরিস্থিতি হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকাসহ সারা দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলেও এখনও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমারজেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঢাকাসহ ৬০টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। তবে এমন পরিস্থিতি এখনও হয়নি যে আমরা হাসপাতালে রোগীদের সিট দিতে পারছি না, ওষুধ দিতে পারছি না। এখনও ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে।

শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে গত কিছু দিন যাবৎ আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে। ঢাকায় রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল থাকলেও ঢাকার বাইরে রোগী বাড়ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা দ্রুতই এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো। ঢাকাসহ সারা দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলেও এখনও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক হেলথ ইমারজেন্সি বা জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণার সময় আসেনি।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেই খেয়াল রাখতে হবে। এমন তো হচ্ছে না যে হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গু রোগীরা সেবা পাচ্ছে না, তাহলে কেন হেলথ ইমারজেন্সি ঘোষণা করতে হবে? আমি মনে করি হেলথ ইমারজেন্সির সময় এখনও আসেনি।

দুই সিটি করেপারেশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেশ কিছু এলাকা ডেঙ্গুর হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এই হটস্পটগুলোতে দ্রুততার সঙ্গে মশা নিয়ন্ত্রণ করুন। আর নয়তো ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। হাসপাতাল প্রস্তুত, তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মশা মারার ওপর জোর দিতে হবে। কলকারখানা এবং অফিসগুলোতেও লার্ভা জমছে, এগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্প্রে করার উদ্যোগ নিতে হবে। এডিস মশা মারার ওষুধ কতটুকু কার্যকর হচ্ছে তা দেখার আহ্বানও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.