বাংলাদেশের পুঁজি ২২৫, ফারজানার সেঞ্চুরি

বাংলাদেশ নারী দলের ওপেনার ফারজানা হকের ঐতিহাসিক এই সেঞ্চুরিতে ভারতের বিপক্ষে চার উইকেটে ২২৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারে এটিই ফারজানা হকের প্রথম সেঞ্চুরি। নারী ক্রিকেটে ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের হয়ে করা প্রথম সেঞ্চুরি।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই রয়েসয়ে খেলতে থাকেন দলটির দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা এবং ফারজানা। দুজন মিলে দেখেশুনে দলের রান বাড়াতে থাকেন। দেখেশুনে খেলতে খেলতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শামিমা। যদিও হাফ সেঞ্চুরি করে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৭৮ বলে ৫২ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটান স্নেহ রানা।

রানার বলে মিড অফে হারমানপ্রিত করের কাছে ক্যাচ তুলে শামিমা বিদায় নিলে ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙে। এরপর নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন ফারজানা, তিনিও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দলীয় ১৬৪ রানের মধ্যে বিদায় রানার দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন নিগার।

বাংলাদেশের অধিনায়কের ব্যাটে আসে ৩৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস। রানার বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন নিগার। ৭১ রানের এই জুটি ভাঙার পর চটজলদি বিদায় নেন রিতু মনিও (২)। তারপর সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে বাকি সময়টা পার করেন ফারজানা। এই দুজনের ব্যাটে ৪৭তম ওভারে দুইশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারের শেষ বলে শেফালি ভার্মার বলে চার মেরে ১৫৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ফারজানা। ইনিংসের শেষ বলে সেই শেফালির থ্রো’তেই রানআউট হওয়ার আগে ১৬০ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সোবহানা। তার ২২ বলে খেলা ২৩ রানের ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৪৫ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার রানা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.