বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শোষকরা বিভিন্ন কৌশলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শুরু করে দিয়েছে। দেশের কিছু কুখ্যাত কালপ্রিট দ্বারা দেশকে অস্থিতীশীল করার সুনিপুন খেলায় মেতে উঠেছে। সাম্রাজ্যবাদী লুটেরাদের বরপুত্র দখলবাজ বর্বর ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মাধ্যমে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিনষ্টের জন্য দেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এই অশুভ দেশদ্রোহীরা পরিকল্পিতভাবে দেশের সশত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে এমনকি দেশের সমস্ত আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্বদরবারে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই দেশের এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে দম্ভ করে মোসাদ এজেন্ট মেন্দী এন সাফারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার নেতা তার সঙ্গে টাকা লেনদেনের কথা প্রেস সম্মুখে স্বীকার করেছেন। ফিলিস্তীনী রাষ্ট্রদূত এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এখন এই ব্যক্তি রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ধৃষ্ঠতামূলক বক্তব্য দিচ্ছে। সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি যেন অনতিবিলম্বে এই সমস্ত চিহ্নিত দেশদ্রোহী তথ্য পাচারকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হউক।
শনিবার (১৫ জুলাই) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশের সশত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ধর্মের অপব্যখ্যার মাধ্যমে উগ্রবাদী জঙ্গী সৃষ্টি প্রভৃতির প্রতিবাদে ও দেশদ্রোহীদের গ্রেফতারের দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে তিনি সভাপতির ভাষণ দিয়েছেন। তার সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব শায়খুল হাদিস মুফতী মনিরুজ্জমান রব্বানী, ভাইস-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জুলকারনাইন ডালিম, মোঃ জামান উদ্দিন, যুগ্ন-মহাসচিব আসাদুজ্জামান খান, মাওলানা আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী বোরহান উদ্দিন আল আজিজী, মুক্তিযোদ্ধা বিষযক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ খোরশেদ আলম, যুবজোট নেতা মোঃ সাঈদ হোসেন জুয়েল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিসবাহুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, ২০০৮ সনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে বাংলাদেশ ইসলামী নিঃস্বার্থভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। আজকে বাংলাদেশ এই উন্নয়ণ ও মর্যাদা জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। আমরা বিগত ১৫ বছর যাবৎ বর্তমান সরকারের সমর্থনে কোন প্রাপ্তি ছাড়াই দেশের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
মহসচিব মুফতী মনিরুজ্জামান রব্বানী বলেন ইসলামীপন্থী দলগুলি আমাদেরকে ভুল বোঝে সমালোচনা করতেন। আমাদের নেতা মিসবাহুর রহমান চৌধুরী তাদের সমালোচনার না দিয়ে বলতেন, একদিন তারা ভুল বুঝতে পেরে বি.এন.পি জামায়াত থেকে মুখ ফিরাবে। আজ আমাদের নেতার কথা সত্যি হয়েছে। ইসলামী রাজনীতিকে তিনি প্রগতির পথ দেখিয়েছেন।
সমাবেশের পর চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়। মিছিল পূর্বে দলের ঢাকা মহানগর মহাসচিব মোশারফ হোসেন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান আবু হানিফসহ অসুস্থ নেতা কর্মী ও দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.