আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ যেন ফিরিয়ে এনেছিল ২০১৬ সালের বেঙ্গালুরুর স্মৃতি। সেবার ভারতের দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। তবে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।
বাংলাদেশ সেই ম্যাচে ১ রানে হেরেছিল স্বাগতিকদের কাছে। শুক্রবার এমনই এক সমীকরণের সামনে পড়েছিল টাইগাররা। শেষ ৬ বলে মূলত দরকার ছিল ৬ রান। হাতে ৫ উইকেট। এমন অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজ মিড উইকেট দিয়ে দারুণ একটি চার মেরে সমীকরণ নামিয়ে আনেন ৫ বলে ২ রানে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। করিম জানাতের বলে মিড উইকেটে মিরাজ ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নবিকে। পরের দুই বলে তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে আউট করে হ্যাটট্রিক তুলে নেন জানাত। বাংলাদেশ পড়ে যায় ২ বলে ২ রানের সমীকরণে।
পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার শরিফুল ইসলাম সুইপার কাভার দিয়ে চার মারেন জানাতের লেংথ ডেলিভারিতে। ফলে ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে তাওহীদ হৃদয় জানিয়েছেন,’আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সবার উপরেই। তাসকিন ভাই, নাসুম ভাই এমনকি শরিফুল তারা সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করে। তাসকিন ভাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন মুহূর্তে আমাদের জিতিয়েছে আমরা দেখেছি। সেই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক চার মেরেছিলেন তিনি। শরিফুলের ওপর আমার আত্মবিশ্বাস ছিল আগে থেকেই আমি জানি ওর সামর্থ্য। আমার সঙ্গেই সে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে খেলে আসছে। সে বড় বড় ছয় মারতে পারে। শেষ বল পর্যন্ত শরিফুল আসা পর্যন্ত আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। আমি তাকে বলছিলাম যে যদি বল ব্যাটে নাও লাগে তাও দৌড় দিস। শেষবার বলেছি ম্যাচটা তুইই জেতাবি। সে বলেছি ইনশাল্লাহ জেতাবো।’
শরিফুল বল ব্যাটে লাগালেনই। সেটা চারও হলো জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। হৃদয় ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৩২ বলে ৪৭ রান করেন। এমন পারফরম্যান্সের ফলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। মূলত শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে তার চতুর্থ উইকেটে গড়া ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটিই বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিল। শামীমের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.