দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ’র (আইসিএমএবি) উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের (পিএফএম) সংস্কার শীর্ষক একটি পেশাগত উন্নয়ন সভা (সিপিডি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ জুলাই) ইনস্টিটিউটের রুহুল কুদ্দুস অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ফিনান্সিয়াল রির্পোটিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মোঃ হামিদ উল্লা ভূঁঞা এবং বিশ্বব্যাংকের লিড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট সুরাইয়া জান্নাত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুর রহমান খান এফসিএমএ তাঁর ভাষণে বলেন, পেশাদার হিসাবরক্ষকদের জন্য পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সংষ্কার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা জরুরি, অন্যথায় পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তারা যে কাজগুলি করে থাকেন তা সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। আইসিএমএবি’র দায়িত্ব হচ্ছে পাবলিক সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সংস্কারে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে সরকারকে সহযোগিতা করা।
বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ও বাজেট সেক্টরে যুগান্তকারী সংস্কারের মূল উদ্যোক্তা বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী তার দীর্ঘ জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতায়, বিভিন্ন সংস্কার এবং স্মার্ট-বাংলাদেশ অভিযাত্রার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ও পাবলিক সেক্টরসমূহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করেন। তাঁর বক্তৃতায় সরকারি আর্থিক খাতের তিনটি ব্লক যথা: the budgetary organization or budgetary central government, extra budgetary organization, and state-owned enterprises এ তিনটি ব্লককে একত্রে পাবলিক সেক্টর বলা হয় এবং তিনি এই সেক্টরগুলি সম্পর্কে তার দীর্ঘ বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা থেকে সকলকে অবহিত করেন। আইসিএমএবি’র সদস্যগণ ও ছাত্রগণ এ আলোচনা থেকে আবশ্যিকভাবে পাবলিক সেক্টর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করেছেন।
ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল’র (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মোঃ হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা, তাঁর আলোচনায় উল্লেখ করেন যে, ডিজিটালাইজেশন পেনশন পদ্ধতি সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশন গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে সবকিছুই ডিজিটালাইজড হওয়া উচিত, সর্বত্র অটোমেশন করা উচিত। এখনো অনেক ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড হওয়া বাকি এবং এতে কিছুটা সময় লাগবে।
বিশ্বব্যাংকের লিড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট মিস সুরাইয়া জান্নাত এফসিএ কিছু সংস্কারের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন যে বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন কিন্তু অবিচল এবং প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সেই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে এবং পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সংষ্কারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক উন্নয়ন ও ফলাফল অর্জন করেছে। সরকার দক্ষতারসাথে সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করছে এবং ট্রেজারি আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে এর অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। এসব সংষ্কার সরকারি অর্থের অপচয় ও লেনদেনের সময় ও খরচ কমিয়েছে এবং বাংলাদেশ সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকে অগ্রসর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আইসিএমএবি’র প্রাক্তন সভাপতি এবং সেমিনার ও সম্মেলন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম এফসিএমএ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আইসিএমএবি’র কোষাধ্যক্ষ মোঃ আখতারুজ্জামান আলম এফসিএমএ, এফসিএ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আইসিএমএবি’র প্রাক্তন সভাপতি আরিফ খান এফসিএমএ অনুষ্ঠানটির সেশন চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনের পাশাপাশি বিচক্ষণতার সাথে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
সরাসরি এবং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক আইসিএমএবি’র সদস্য এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইসিএমএবি’র ছাত্র-ছাত্রী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.