ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহত বেড়ে ১০

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

ইসরায়েলি সেনা জানিয়েছে, এটা ছিল তাদের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। তারা প্রাথমিকভাবে ফিলিস্তিনি রিফিউজি শিবিরে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র তৈরির কারখানা ও গুদাম আক্রমণ করে। শিবিরে তল্লাশি চালানো হয়। এখানে ল্যাবরেটারিতে বিস্ফোরক তৈরি করা হতো। সেই সঙ্গে রকেট লঞ্চারের অংশও তৈরি হতো।

সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই হাজার ইসরায়েলি সেনা হামলায় অংশ নিয়েছে। সেই সঙ্গে সামরিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথমে শিবিরে আটজন মারা গিয়েছে বলে তাদের দাবি। পরে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন ইসরায়েলি সেনা সামান্য আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি সংবাদসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শিবিরের চারপাশের রাস্তা সেনা বন্ধ করে দেয়। আশপাশের সব বাড়ির ছাদে সেনা সদস্যরা অবস্থান নেয়।

ইসরায়েলের সেনার রেডিওতে সিকিউরিটি ক্যাবিনেটের সদস্য শক্তিমন্ত্রী বলেছেন, ‘একদিনে এই অপারেশন শেষ হয় না। সেনা ওখানে আরো কয়েকদিন থাকতে পারে।’

আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্ক থাকা দরকার। সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করা উচিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, নিজের দেশের মানুষকে হামাস, ফিলিস্তিন ইসলামিক ফোর্স ও অন্য সংগঠনের হাত থেকে রক্ষা করার অধিকার ইসরায়েলের আছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেনিনের রিফিউজি শিবিরকে ঘিরে ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিন সন্ত্রাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। গত মাসে ইসরায়েলি সেনার ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাব, চলতি বছরে ১৪৭ জন ফিলিস্তিনি ও ২৩ জন ইসরায়েলি মারা গেছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.