ভূমিকম্প প্রস্তুতির জন্য জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রস্তুতিতে জনসচেতনতা বাড়ানোয় সাহায্য করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৩ জুলাই) দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (এসআরএসজি) মামি মিজুতোরির সঙ্গে নিজের কার্যালয়ে বৈঠককালে তিনি এ অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত সেন্ডাই ফ্রেমওয়ার্কের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এসআরএসজি এ প্রসঙ্গে ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় মধ্য-মেয়াদী স্টকটেকিং অনুশীলনে সরকারের অবদানের প্রশংসা করেছেন।

এসআরএসজি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভূমিকম্প মডেলিং তৈরি করার বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার বিষয়ে আগাম সতর্কতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি বহুমুখী-বিপদ সংক্রান্ত আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন যোগানের লক্ষ্যে দেশে একটি বিশ্লেষণ পরিচালনার জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিছু সেরা অনুশীলন অন্যান্য দুর্যোগ-প্রবণ দেশের সঙ্গে বিনিময় করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির জন্য কমিউনিটি এনগেজমেন্ট মডেল প্রদর্শনের জন্য অন্যান্য আগ্রহী দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানোর প্রস্তাব দেন। এসআরএসজি মিজুতোরি বাংলাদেশের কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক-ভিত্তিক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির মডেলটিকে দেশের অন্যান্য স্থানে অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্ত্রী এবং এসআরএসজি ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে দুর্যোগ-সহনশীল অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির ঘাটতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও সংবেদনশীল করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

এসআরএসজি মিজুতোরি চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি জাতিসংঘের ব্যবস্থায় বাস্তবায়িত কিছু মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.