ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার (২ জুলাই) ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে অফিস খোলার দ্বিতীয় দিনে এসেও ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম।
সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকেও কাজের চাপ ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি অনেক কম।
এদিকে ছুটি শেষ হওয়ার দ্বিতীয় দিনেও ব্যাংক পাড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের কুশল বিনিময় করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ব্যস্ততা কম থাকায় অনেকেই অলস সময় পার করছে। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে থাকায় চেয়ার-টেবিল অনেকটা ফাঁকা পড়ে আছে। গ্রাহকদের উপস্থিতি কম থাকায় ঢিলেঢালা লেনদেন চলছে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের ছুটির পর গতকাল রোববার (২ জুলাই) ব্যাংক খুলেছে। আজকে ব্যাংক খোলার দ্বিতীয় দিনেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। কারণ অনেকেই ঈদের পর দুয়েকদিন ব্যক্তিগত ছুটি নিয়েছেন। তাতে তারা আরও দুয়েকদিন ছুটি কাটাবেন। তাছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় বড় ধরনের কোনও লেনদেন হচ্ছে না। যা হচ্ছে, তা ছোট ছোট লেনদেন। আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংকগুলোতে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হাবিব উল্লাহ নামের একজন গ্রাহক জানান, কিছু টাকা জমা দেওয়ার জন্য এসেছি। ঈদের আগে জমা দিতে চেয়েছিলাম, তবে ব্যস্ততার কারণে জমা দিতে পারিনি। তাই ব্যাংক খোলার প্রথম দিন এলাম জমা দিতে। আজকে রাজধানী ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। এর ফলে রাস্তার কোন যায়গায় যানজটও নেই। তাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে আসতে পেরেছি। এখানেও ভিড় কম, এসেই কাজ শেষ করলাম।
রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকেও দেখা গেছে একই চিত্র। ব্যাংকটিতে গ্রাহক কম। অল্প কয়েকজন গ্রাহক বিশেষ প্রয়োজনে আসছেন এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
সবসময় ঈদের পর লোকজন কম থাকে। ঈদে গ্রামের বাড়ি গেছেন অনেক মানুষ। তারা পর্যায়ক্রমে তারা ঢাকায় ফিরবেন। তাই স্বাভাবিক কাজের গতি ফিরে পেতে এ সপ্তাহ লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সারা দেশে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। এবার নির্বাহী আদেশে ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়িয়ে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত (মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) চারদিন ছুটি ছিল। এর পরদিন শনিবার (১ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবারের ঈদের ছুটি হয় পাঁচ দিন। টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) অফিস পাড়ায় যোগ দেন কর্মজীবীরা।
অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.