পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আইএমএফ

বর্তমানে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে অবশেষে ঋণ দিতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈশ্বিক সংস্থাটি পাকিস্তানকে প্রায় ৩০০ কোটি বা তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে।

ঋণের জন্য পাকিস্তানের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন। অবশেষে প্রায় আট মাস পর উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা ঋণের চুক্তি ও শর্তের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তবে চূড়ান্তভাবে ঋণ পেতে হলে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগবে।

সাধারণত ঋণচুক্তির জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে সম্মতি পাওয়া গেলে তা আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদেও অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী সপ্তাহে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংস্থাটির পর্ষদে অনুমোদিত হলে ৯ মাসের মধ্যে পাকিস্তান ঋণের পুরো অর্থ পাবে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রাথমিক চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা আসার পরে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এক টুইটে বলেন, সব প্রশংসা আল্লাহর। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসহাক দার জানিয়েছিলেন, যেকোনো সময় আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তির ঘোষণা আসতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ধাক্কা খেয়েছে পাকিস্তান। বিশেষ করে ২০২২ সালের বিপর্যয়কর বন্যা এবং এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণভাবে অনেক চাপে পড়ে পাকিস্তান।

এ রকম অবস্থার মধ্যে সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ দেশটির আর্থিক বাজারকে আরও বিপর্যস্ত করে তোলে।

এদিকে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি এখন ঊর্ধ্বমুখী। গত মে মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এ ছাড়া পাকিস্তানে বর্তমানে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত রয়েছে, তা দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের কম সময়ের পণ্য আমদানি করা যাবে। অর্থনীতিবিদেরা সাধারণত একটি দেশে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন। এ ছাড়া গত এক বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপির মূল্য প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। সূত্র: সিএনএন।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.