৪০৮ করে ৩০৪ রানে জিতল জিম্বাবুয়ে

জয়লর্ড গাম্বি ও ইনোসেন্ট কাইয়া মিলে জিম্বাবুয়েকে শুরুটা ভালোই এনে দিয়েছিলেন। মাঝে শন উইলিয়ামসের ১৭৪, সিকান্দার রাজার ২৭ বলে ৪৮ এবং রায়ান বার্লের ১৬ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪০৮ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ৩০৪ রানের জয়ে ভারত বিশ্বকাপ খেলার পথে আরও এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জয়ের জন্য ৪০৯ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। রিচার্ড এনগারাভার লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটকিপার গাম্বির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন স্টিভেন টেলর। আরেক ওপেনার সুশান্ত মোদানি আউট হয়েছেন একটু পরই। এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে গাম্বির গ্লাভসেই ক্যাচ দিয়েছেন ৬ রান করা সুশান্ত। মোনাক প্যাটেল, অ্যারন জোনস, শায়ান জাহাঙ্গীর, গাজানন্দ সিংরা আউট হয়েছেন দ্রুতই। পঞ্চাশ পেরোনোর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।

নিজেদের শেষ ৪ উইকেটে ৫৯ রান যোগ করে প্যাটেলের দল। ১০৪ রানে অল আউট হওয়ার ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন অভিষেক পারাদকার। এ ছাড়া ২১ রান এসেছে জাসদীপ সিংয়ের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন এনগারাভা ও রাজা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ে। ৩২ রান করা কাইয়া ফিরলে ভাঙে তাদের এই জুটি। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন উইলিয়ামস ও গাম্বি। মাত্র ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান দারুণ ছন্দে থাকা উইলিয়ামস। ওপেনার গাম্বি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৭৩ বলে।

যদিও সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারের। ১০৩ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন গাম্বি। তবে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন উইলিয়ামস। বাঁহাতি এই ব্যাটার তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার ছুঁয়েছেন ৬৫ বলে। চারে নেমে দ্রুত রান তুলেছেন রাজা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রান করেছেন দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার। শেষ দিকে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে মাত্র ১৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন বার্ল। সেঞ্চুরি করা উইলিয়ামস ১৭৪ রানে আউট হয়ে আক্ষেপে পুড়েছেন। যদিও প্রথমবারের মতো ঠিকই ৪০০ পেরোনো পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.