বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব: সুপার সিক্সে নেদারল্যান্ডস

লগান ভ্যান বিক, বাস ডি লিড এবং বিক্রমজিত সিংদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেপালকে মাত্র ১৬৭ রানে আটকে দেয় নেদারল্যান্ডস। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাক্স ও’ডাউডের ৯০ এবং ডি লিডের অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসে জয় পায় স্কট এডওয়ার্ডসের দল। নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার সিক্সে জায়গা করে নিলো ডাচরা।

হারারের তাকাশিঙ্গা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জয়ের জন্য ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ও’ডাউড এবং বিক্রমজিত। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৮ রান তোলে তারা দুজন। সন্দীপ লামিচানে এসে ভাঙেন নেদারল্যান্ডসের উদ্বোধনী জুটি। লামিচানের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে বিক্রমজিত ৩১ রানে ফিরলে ভাঙে ও’ডাউডের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি। এদিকে ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ডাচদের টানতে থাকেন ও’ডাউড। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওয়েসলে বারেসি।

দীপেন্দ্র সিংকে ক্যাচ দিয়ে লামিচানের বলে ফিরছেন ৩ রান করা এই ব্যাটার। এরপর জুটি গড়েন ও’ডাউড এবং বারেসি। তাদের দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙেন গুলশান ঝা। ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৯০ রান করা ও’ডাউড। এরপর তেজা নিদামানুরুকে সঙ্গে নিয়ে নেদারল্যান্ডসের জয় নিশ্চিত করেন ডি লিড। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। নেপালের হয়ে লামিচানে দুটি আর গুলশান একটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই আসিফ শেখকে হারায় নেপাল। এরপর অবশ্য কুশাল ভুরটেল ও ভিম শার্কি মিলে খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাদের জুটি বেশি বড় হতে দেননি। নেপালের ব্যাটারদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সবচেয়ে বেশি ৩৩ রানের ইনিংস এসেছে অধিনায়ক রোহিত পাওডেলের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া কুশাল ২৭, লামিচানে ২৭, ভিম ২২ এবং গুলশান ১৫ রান করেছেন। তাতে ৫.৩ ওভার বাকি থাকতে ১৬৭ রানে অল আউট হয় নেপাল। ডাচদের হয়ে ভ্যান বিক চারটি আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ডি লিড ও বিক্রমজিত।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.