বেয়ারস্টোরে আস্থা ইংল্যান্ডের

২৮১ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে ডেভিড ওয়ার্নার-খাওয়াজারা। এই উদ্বোধনি জুটি এনে দেয় মূল্যবান ৬১ রান। অথচ বেয়ারস্টোর মুঠোবন্দী হতে পারলে অনেক আগেই ফিরে যেতেন তিনি। অজি এই ওপেনারের ম্যাচ থামে ১৯৭ বল খেলার পর, ততক্ষণে তার ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৬৫ রানে। যদিও জনি বেয়ারস্টো ক্যাচটি ধরতে পারলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানেই থামতে পারতেন খাওয়াজা। এ ছাড়া পুরো ম্যাচ জুড়েই বেশ কিছু মিস করেছেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা বেয়ারস্টো। তবুও এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের উপরেই বিশ্বাস রাখছে যাচ্ছে বাজবলের জনকরা।

ম্যাচটি জয়ের জন্য তখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল ৭২ রান। মূলত নাথান লায়নকে সঙ্গী করে প্যাট কামিন্স যেই গল্পটা লিখছিল, সেটা খাওয়াজার সেই ইনিংসে ভর করেই হয়েছিল। এজবাস্টন টেস্টে বেয়ারস্টো লুফে নিয়েছেন পাঁচটি ক্যাচ। যার মধ্যে প্রথম ইনিংসে একটি এবং দ্বিতীয়টি চারটি। তবে ম্যাচ দু’বার অ্যালেক্স ক্যারিকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ মিস করেছেন তিনি। এমনকি শুধু ক্যাচ নয়, স্টাম্পিংয়েরও একটি সুযোগ মিস করেন তিনি। মঈন আলীর বলে সামনে এসে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন ক্যামেরন গ্রিন, কিন্ত স্ট্যাম্প ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী বেয়ারস্টো। তবুও তার ওপরেই আস্থা রাখছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

ইংল্যান্ডের হেড কোচ বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এগুলো বেশ বড় ভুল ছিল, কিন্ত সত্যি কথা বলতে এখানে আমি এর আগে কিপিং করেছি, যা মোটেও সহজ কাজ নয়। রুক্ষ একটা উইকেটে যখন বল বাউন্স করবে তখন এটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আবার যখন আপনি স্ট্যাম্পের কছাকাছি দাঁড়াবেন তখন এটা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’

ম্যাচে গ্লাভস হাতে দৃষ্টিকটু পারফরম্যান্স করলেও ব্যাট হাতে ছিল দারুণ অবদান রেখেছেন বেয়ারস্টো। বেয়ারস্টোর প্রশংসা করে ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘সে বেশ উন্নতি করছে, এ ছাড়া ব্যাট হাতে সাত নাম্বার পজিশনে সে আমাদের জন্য একটি বড় অস্ত্র, দলের জন্য রান যোগ করাতে সে দারুণ।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.