টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে একটি সাবমেরিনসহ নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। এদিকে সমুদ্রতল থেকে নতুন শব্দ পেয়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। ভেবেছিলেন, টাইটান সাবমেরিন থেকে শব্দ আসছে। কানাডার একটি বিমান আধঘণ্টা পরপর কয়েকবার ওই শব্দ শোনে। পরে যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু যন্ত্র কোনো শব্দ পায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই শব্দ টাইটানের নাও হতে পারে। আমেরিকার নৌবাহিনীর সাবেক কম্যান্ডার ডেভিড মারকুয়েট বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে কিছু শব্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু তা টাইটানের নাও হতে পারে। সেটা স্বাভাবিক শব্দও হতে পারে। তাছাড়া প্রচুর জাহাজ এই অঞ্চলে আসছে। তাই আরো শব্দ পাওয়া যেতে পারে।’
তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘টাইটানে থাকা মানুষদের বাঁচার সম্ভাবনা কম। তবে আশার কথা হলো, টাইটানকে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র চলে আসছে। টাইটান কোথায় আছে, তার খোঁজ পেলে পাঁচজনকে বাঁচানো সম্ভব।’
আগেই জানানো হয়েছিল, মোট ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন নিয়ে টাইটান রওনা হয়েছিল। সেইমতো বৃহস্পতিবার অক্সিজেন শেষ হয়ে যাবে। তবে আমেরিকার নৌবাহিনীর সাবেক ডাইভার বলেছেন, ৯৬ ঘণ্টার পরেও বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পেতে পারেন টাইটানে থাকা পাঁচজন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাদের উদ্ধার করতে না পারলে, তাদের বেঁচে থাকা কঠিন হবে।
মার্কিন কোস্ট গার্ডের তরফে ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিখ জানিয়েছেন, ‘বুধবার যে শব্দ পাওয়া গেছে তা কোনো কিছুতে ধাক্কা মারার শব্দ। তবে সেটা যে টাইটান থেকে আসছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আমরা এখনো জানি না, ওটা ঠিক কীসের শব্দ। তবে মানুষ যেন আশা না হারান। উদ্ধারকারীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের আশা রাখতে হবে।’
২০২১ সালে টাইটানে সফর করেছিলেন জার্মান শিল্পপতি আর্থার। তিনি বলেছেন, সেসময়ও সাবমেরিন ডুব দেয়ার পর ব্যাটারি চার্জ হচ্ছিল না। একটা পাইপ খুলে পড়ে গেছিল। পরে তা প্লাস্টিক হোল্ডার দিয়ে লাগানো হয়। তিনি জানিয়েছেন, ওই সফর ছিল খুবই বিপজ্জনক। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.