আইরিশদের টানা হার, জিতল স্কটল্যান্ড

ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে স্কটল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৮ রান, তখন হাতে ছিল ২ উইকেট। এমন সমীকরণে মার্ক অ্যাডায়ারের ফুল লেংথ ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে খেলেছিলেন মাইকেল লিস্ক। হ্যারি টেক্টর দ্রুত বল ধরতে গিয়ে উল্টো ফিল্ডিংয়ে মিস করে বসেন। তাতে করে টেক্টরের ভুল চার রান পায় স্কটল্যান্ড। পরের বলে এক রান নিলে সমীকরণ তখন একেবারে স্কটিশদের পক্ষে।

যদিও তৃতীয় বলে শাফওয়ান শরিফকে ফিরিয়ে খেলা জমিয়ে তোলেন অ্যাডায়ার। চতুর্থ বলে কোনো রান নিতে পারেননি ক্রিস সোলে। তবে পঞ্চম বলে লেগ বাই থেকে রান নিয়ে লিস্ককে স্ট্রাইক দেন তিনি। শেষ বলে যখন ২ রান দরকার তখন রান মেরে স্কটল্যান্ডের এক উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন লিস্ক। এদিকে টানা দুই ম্যাচে হারায় বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা অনেকটা ক্ষীণ হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের জন্য।

বুলাওয়াতে জয়ের জন্য ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তবে ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ও ব্রেন্ডন ম্যাকমালেন মিলে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। যদিও ১০ রানের বেশি করতে পারেনি ম্যাকমালেন। দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন জর্জ মানজি, রিচি বেরিংটন এবং টমাস ম্যাকিনটস। ১২২ রানে ৬ উইকেট হারানো স্কটল্যান্ড নিজেদের সপ্তম উইকেট হারায় ১৫২ রানে। এরপর মার্ক ওয়াট এবং লিস্ক মিলে ৮২ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি ওয়াটের। জর্জ ডকরেলের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন ৪৭ রানের ইনিংস খেলে।

ওয়াট সেঞ্চুরি না পেলেও ৪৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন লিস্ক। শেষ পর্যন্ত স্কটিশদের জয় নিশ্চিত করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অপরাজিত ছিলেন ৬১ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে অ্যাডায়ার তিনটি আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জশুয়া লিটল ও ডকরেল।

এর আগে টস জিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে আয়ারল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ রানের ইনিংস খেলেছেন কার্টিস ক্যাম্ফার। এ ছাড়া ডকরেলের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৯ রান। স্কটল্যান্ডের হয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন ম্যাকমালেন।

এদিকে অপর ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে ভ্রিত্তিয়া অরবিন্দের ৪৯ এবং শেষ দিকে আয়ান আফজাল খানের অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সংযুক্ত আরব আমিরাত।

২২৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ওমানও। ১৪ রানে ২ উইকেট হারানো ওমানকে টেনে তোলেন আকিব ইলিয়াস এবং শোয়েব খান। হাফ সেঞ্চুরি করা ইলিয়াস ৫৩ রান করে ফিরলেও ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাদিমও ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া ৪১ রান এসেছে আয়ান খানের ব্যাট থেকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.