টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে সাবমেরিন নিখোঁজ

টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে একটি সাবমেরিন নিখোঁজ হয়েছে। আমিরাত-ভিত্তিক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং এই সাবমেরিনে ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, তিনি এই অভিযানে আছেন। তবে তিনি ওই পোস্টে খারাপ আবহাওয়ার কথাও লিখেছিলেন।

ওশানগেট এক্সপিডিশন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সাবমেরিন টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গেছে। সাবমেরিনটিকে উদ্ধার করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সাবমেরিনটিতে পাঁচজন আছেন। আর তাতে চারদিনের মতো অক্সিজেন রয়েছে।

সোমবার মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা ২১ ফিট লম্বা সাবমেরিনটির খোঁজ করছে। পানির তলায় জিনিস খুঁজতে পারে কানাডার এমন বিমান তাদের সরাহায্য করছে। তারা টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের জায়গার আশেপাশে অনেকখানি এলাকায় খোঁজ চালিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাবমেরিনের খোঁজ পাননি।

কোস্ট গার্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সাবমেরিনটি রোববার সকালে পানির তলায় যায়। তার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হয়।

কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাবমেরিনে পাঁচজনই সফর করতে পারেন। এরজন ক্যাপ্টেন, একজন টাইটানিক সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ও তিনজন যাত্রী। যাত্রীদের এই সফরের জন্য দুই লাখ ৫০ হাডার পাউন্ড দিতে হয়। এর আগেও পুরাতাত্ত্বিক ও অন্য বিশেষজ্ঞদের টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপে নিয়ে গেছে এই সাবমেরিন।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সময় একটা বড় ব্যাপার। কারণ, সাবমেরিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে। তার মধ্যেই সাবমেরিন ও যাত্রীদের খুঁজে বের করতে হবে। সি-১৩০ বিমান সমুদ্রের উপরে নজর রাখছে। পি-৮ বিমান সমুদ্রের নিচে কোনো ধাতব জিনিস আছে কি না, তার খোঁজ করছে। মার্কিন ও কানাডার কোস্ট গার্ড পুরো জায়গাটা খুঁজছে। তাদের সেই খোঁজে যুক্ত হয়েছে বাণিজ্য়িক জাহাজও। মার্কিন ও কানাডার নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাোগ করা হয়েছে। তারা কীভাবে পানির তলায় খোঁজে সাহায্য করতে পারে তা জানার জন্য। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.