ফিফার বর্ণবাদ-বিরোধী টাস্কফোর্সে ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র

ফুটবলে বর্ণবাদ রুখতে ফিফা একটি টাস্কফোর্স গঠন করবে বলে জানিয়েছে৷ এতে ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’ পালন করবেন বলেও জানিয়েছে ফিফা৷

গতমাসে লা লিগার এক ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে খেলার সময় দর্শকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র৷ সেই সময় তারকা ফুটবলারসহ অনেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ গত দুই বছরে বেশ কয়েকবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন ভিনিসিয়ুস৷

ফিফা সভাপতি জানি ইনফান্টিনো বলেন, ‘বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিষয়ে শুধু কথা না বলে চূড়ান্ত ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ- জিরো টলারেন্স৷’

ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে সবশেষ বর্ণবাদী আচরণের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়৷ এছাড়া ভ্যালেন্সিয়ার স্টেডিয়ামের একটি অংশও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ এই ঘটনার পর স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন একটি বর্ণবাদবিরোধী কর্মসূচি শুরু করেছে৷ এছাড়া যে সমর্থকেরা এমন আচরণ করেছিলেন বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের স্টেডিয়ামে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷

ভ্যালেন্সিয়ায় বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বলেন, ‘আমি যেন এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারি সেজন্য সবাই আমাকে শক্তি জুগিয়েছেন৷’

তিনি বলেন, ‘ইনফান্টিনো আজ সমর্থন জানাতে এসেছিলেন৷ ফিফা যে কমিটি করছে, সেখানে আর কোন খেলোয়াড়দের রাখা উচিত সেই পরামর্শ চেয়েছেন৷ আমার মনে হয়, এটা গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি পদক্ষেপ৷’

এর আগে ২০১৩ সালে এসি মিলানের মিডফিল্ডার কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার পরও টাস্কফোর্স গঠন করেছিল ফিফা৷ ২০১৬ সালে ইনফান্টিনো ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকমাস পর সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ এর কারণ হিসেবে সেই সময় বলা হয়েছিল, ‘টাস্কফোর্স তার সাময়িক মিশন পুরোপুরি শেষ করেছে’৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.