আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসেই বড় লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই অনুমিতভাবেই বড় লক্ষ্য অপেক্ষা করছিল আফগানদের জন্য। তবে শান্ত-মুমিনুলের সেঞ্চুরিতে সেটা রীতিমতো রানপাহাড় হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। ফলে এই টেস্টে জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে করতে হবে ৬৬২ রান।

আজ শুক্রবার (১৬ জুন) দিনের তৃতীয় সেশনে এসে ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তখন উইকেটে অপরাজিত ছিলেন সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক ও হাফসেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। ব্যাটিং ছাড়ার আগে মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ১২১ রানে। ১৪৫ বলে যা সাজানো ছিল ১২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কা দিয়ে। অধিনায়ক লিটন অপরাজিত ছিলেন ৮১ বলে ৬৬ রানে।

টেস্ট ক্রিকেটে এতটা নির্ভার খুব কমই দেখা যায় বাংলাদেশকে। যেখানে বাংলাদেশের হারানোর নেই কিছু। বৃষ্টির বাধা ছাড়া জয় বঞ্চিত হওয়ারও সুযোগ কম। তাই রীতিমতো রান তোলার উৎসব চলে। শেরেবাংলার ঘাসের উইকেটে সেই উৎসবটা নিজেদের মতো করেই রাঙান বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত। যিনি প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি তোলার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন শতকের দেখা। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া মুমিনুলও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। সেই সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে রানের দেখা পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, লিটন দাসরা। সবমিলিয়ে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনেও বাংলাদেশের দাপট অব্যাহত।

আজ ৩৭০ রানের পুঁজি নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো ব্যাট হাতে আধিপত্য ধরে রাখেন বাংলাদেশের ব্যাটারা। বিশেষ করে, নাজমুল হোসেন শান্তর টানা সেঞ্চুরির পর মুমিনুলের দৃঢ়তায় আফগানদের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় স্বাগতিকরা।

টানা সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত আজ থেমেছেন ১২৪ রানে। ১৫১ বলে তিনি হাঁকান ১৫টি বাউন্ডারি। এ ছাড়া জাকির হাসান উপহার দেন ৭১ রানের দারুণ ইনিংস। ব্যাটারদের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ খেলেছে ৮০ ওভার। তাতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে শক্ত পুঁজি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৮২ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে প্রথম ইনিংসে নেমে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। তাতে ২৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.