প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জনাথান ট্রট মজার ছলে বলেছিলেন, ১০ রানের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট তুলে নিয়ে চালকের আসনে বসতে চান তারা। দ্বিতীয় দিনের সকালে অবশ্য কোচের মজা করে বলা কথাটাকে ঠিক প্রমাণ করেই ছাড়লেন শিষ্যরা। তবে বাংলাদেশের বাকি ৫ উইকেট নিতে সফরকারী দলের বোলাররা খরচ করেছেন ২০ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাট করছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান ইনিংস- দ্বিতীয় দিনের সকালে বড় কাজটা করে দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বোলাররা। বাকি দায়িত্বটা ছিল ব্যাটারদের। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেনি আফগানিস্তানের ওপেনিং জুটি।
শুরুটা দেখে শুনে করলেও আফগানিস্তানকে প্রথম ধাক্কা খেতে হয় শরিফুলের তৃতীয় ওভারে। এই পেসারের ছোড়া অফ স্টাম্পের বাইরের এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন ইবরাহিম জাদরান। এই ওপেনারকে বিদায় করে ক্রিস্টিয়ানো রোলান্ডোর মত সেলিব্রেশন করেন তিনি। এরপরের ওভারে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার আব্দুল মালিককে বিদায় করেন এবাদত হোসেন। দারুণ এক বাউন্সারে এই ব্যাটারকে বিপদে ফেলেন তিনি। এবাদতের গতিময় বাউন্স সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে স্লিপে জাকিকে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
এদিকে দিনের শুরুতে ৩৬২ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন দাসের দল অল আউট হয়েছে ৩৮২ রানে। দ্বিতীয় দিন মাত্র ৭ ওভার ব্যাটিং করতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় মাত্র ৪৫ মিনিটের মত ব্যাটিং করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। এদিন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসানের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.