যমুনা নদী ছোট করা হবে না, রিট খারিজ হাইকোর্টের

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনা নদীকে ‘ছোট করা হবে না’ মর্মে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিশ্চয়তা প্রদান করায় রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অরবিন্দ কুমার রায়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।

এর আগে গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যমুনা নদীকে ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতি বছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন পরিকল্পনা এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনোধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে যমুনা নদীকে ছোট করার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত প্রজেক্ট ফাইল তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সব নথি আদালতে দাখিল করে। শুনানি নিয়ে রিটটি খারিজ করলেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.