পণ্যের ব্যবহারে আমাদের বহুমুখী হতে হবে। দেশের ফিশারিজ খাতে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে চাইতো না। কারণ তাদেরকে হাওয়া ভবনে টাকা দিতে হতো বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (১০ জুন) ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সি-ফুড শো-২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চমৎকার রাষ্ট্র। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা সবার কথা শোনেন। এত ভালো সহযোগিতার ক্ষেত্র বিশ্বের অনেক দেশে নেই। তাই এখন বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। করোনা সময় বিশ্বের বিভিন্ন অফিস বন্ধ হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশের ফিশারিজের কোন অফিস তখন বন্ধ হয়নি। এতে সেখানের শ্রমিকদের পাশাপাশি মালিকেরা লাভবান হয়েছে। পাশাপাশি যারা আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত তারাও লাভবান হয়েছে। তাই এই খাত উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব মাছ বিলুপ্ত হলে সেটিকে আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আবারও সেসব মাছের ব্যপ্তি ঘটাতে পারবো। আমাদের মাছের মান বর্তমানে অনেক ভালো। তাই এসব মাছের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আজকের যে কোনো প্রোগ্রামের খাবারে চিংড়ি থাকে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বিভিন্ন চিংড়ি চাষে আমরা অনুমতি দিয়েছি। এছাড়া বর্তমানে ইলিশ মাছের উৎপাদনও বেড়েছে। আমাদের সমুদ্রসীমা বেড়েছে। তাই ফিশারিজ খাতের সম্ভাবনাকে কাজ লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ৬০ ভাগ প্রাণীজ আমিষের চাহিদা মাছের মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক ও বেসরকারি উদ্যোগে এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের ফিশারিজ খাতের গভেষকরা কর্মক্ষেত্রে অনেক ভালো করছেন। সরকার এই খাতের উন্নয়নে সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.