রাজধানীর ভাটারা থানাধীন একটি বাসায় তেলাপোকার ওষুধের বিষক্রিয়ায় স্কুলপড়ুয়া দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের এমডি ও চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান আশরাফ ও এমডি ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পোকামাকড় নিধনে একটি পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাসায় ডেকে আনেন মোবারক হোসেন ও শারমিন জাহান দম্পতি। কীটনাশক স্প্রে করার পর কর্মীরা বলে যান, ছয় ঘণ্টা যেন কেউ বাসায় না ঢোকেন। এরপর পুরো বাসা পরিষ্কার করে বসবাস করতে হবে। পরিবারটি বাইরে সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছোট ছেলে শাহির ও তার বড় ভাই শায়ান। রোববার ভোরে দুই ভাইকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শাহিরকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শায়ানও মারা যায়। তবে এই দম্পতির অপর সন্তান (মেয়ে) সুস্থ আছে।
ভাটারা থানার ওসি এবিএম আসাদুজ্জামান বলেন, বাসায় তেলাপোকাসহ পোকামাকড় নিধনে কীটনাশক প্রয়োগ করেছিলেন টিটু। ওই কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় শাহির মোবারত জায়ান (৯) ও শায়ান মোবারত জাহিন (১৫) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বাবা মোবারক হোসেন সোমবার তিনজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিন রাতে পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানের কর্মী টিটু মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টিটুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ভাটারা থানা পুলিশ। এ সময় আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অথসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.