গত কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও তেলের দাম নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সঙ্গে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটিতে গেলেন।
ব্লিংকেন সৌদিতে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে মূলত আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ব্লিংকেন এবার অন্য সৌদি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন।
সৌদি আরব তাদের তেল উৎপাদন দিনে ১০ লাখ ব্যারেল কম করেছে। তেলের দাম যাতে বাড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা খুশি নয়। তাছাড়া সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও আমেরিকা সোচ্চার হয়েছে।
ব্লিংকেনের এই সফরের দুইটি উদ্দেশ্য আছে। এক, তেল নিয়ে আমেরিকার প্রভাব বজায় রাখা। দুই, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করা। তাছাড়া তাদের আশা, সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কও এবার ভালো হবে।
ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অফ ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিস-এর পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ বলেছেন, ‘ব্লিংকেনের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো, চীন ও সৌদি আরব যাতে খুব কাছাকাছি না আসে তা নিশ্চিত করা। ব্লিংকেন সৌদি আরবকে বোঝাবার চেষ্টা করবেন, চীন কেন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে। আর আমেরিকার সঙ্গে থাকলে সৌদির কী লাভ হবে।’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.