যে তিন কারণে বাতিল হলো ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও

আপাতত পুঁজিবাজারে আসতে পারছে না ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড। কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।তিনটি কারণ দেখিয়ে কোম্পানিটির আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

তবে এবার আইপিও আবেদন বাতিল হলেও সমস্যা তিনটির সমাধানের পর কোম্পানিটি পুনরায় আবেদন করার সুযোগ পাবে।

বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, তিনটি কারণে কমিশন ইসলাম অক্সিজেনের আইপিও আবেদন বাতিল করেছে। কারণগুলো হচ্ছে- কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দায়ের করা মামলা, সম্পদ মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ এবং নির্ধারিত সময়ে বিএসইসির কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা না দেওয়া।

জানা গেছে, ইসলাম অক্সিজেন প্রকৃত বিক্রির তথ্য আড়াল করে ৬১ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ এনবিআর। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আইপিওর আবেদন জমা দেওয়ার কিছুদিন পর এনবিআরের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চিঠি দিয়ে বিএসইসিকে অবহিত করে।

উল্লেখ, বুক-বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার জন্য আবেদন করেছিল ইসলাম অক্সিজেন। কোম্পানিটি বাজার থেকে ৯৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। পুঁজিবাজার থেকে টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হবে বলে আইপিওর প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর শর্ত অনুসারে, কোম্পানিটি ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি রোড শো’র আয়োজন করে।

চিকিৎসা, শিল্প এবং পরীক্ষাগারের উপযোগী অক্সিজেন উৎপাদনকারী ইসলাম অক্সিজেন লিমিটেড ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটির উৎপাদন কারখানা নারায়ণগঞ্জের তারাবো এলাকায় অবস্থিত।

প্রসপেক্টাসের তথ্য অনুসারের ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৪ টাকা ৩৭ পয়সা। যা ২০২০ সালের ছিল ২ টাকা ৭৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির পুনঃমূল্যায়ন সহ শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছিল ৩৮ টাকা ৩৭ পয়সা এবং পুনমূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৫ টাকা ৯ পয়সা।
কোম্পানিটির আইপটিওর ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিল  জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর এর রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিল সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.