কংগ্রেসের পর সেনেটেও পাস ঋণসীমা তুলে দেয়ার আইন

পাস করতে হতো ৫ জুনের মধ্যে। না হলে আমেরিকা আর্থিক সংকটে পড়তো। তার আগে বৃহস্পতিবারই সেনেটে পাস হয়ে গেল ডেট সিলিং বিল।। ফলে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো সীমা থাকলো না। আপাতত যথাসময়ে ঋণ পরিশোধের কাজটাও করতে পারবে সরকার।

এই বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে মতবিরোধ চলছিল। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও বিরোধ ছিল। শেষপর্যন্ত সেনেটে ৬৩-৩৬ ভোটে তা পাস হলো। বুধবার বিলটি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হয়েছিল। এবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলেই তা আইনে পরিণত হবে।

সেনেটে ডেমোক্র্যাট নেতারা বলেছেন, তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কারণ, আমেরিকা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডিফলটার হবে না। তারা যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। আমেরিকার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য না থাকার জন্য এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো সীমা থাকবে না। ২০২৫ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

তবে বেশ কিছু ডেমোক্র্যাট এমপি-র বিলের দুইটি বিষয় নিয়ে আপত্তি ছিল। তারা মনে করেছেন, এই বিলে এমন একটি ধারা আছে, যার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার কলেরাডোতে বিমানবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অনুষ্ঠানে দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে বাইডেন ৯২১ জন গ্র্য়াজুয়েট ক্যাডেটের সঙ্গে হাত মেলান। তারপর আসনের দিকে ফিরে আসার সময় বালির ছোট ব্যাগের সঙ্গে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। তাকে সঙ্গে সঙ্গে একজন কর্মকর্তা হাত ধরে টেনে তোলেন। তারপর বাইডেন কোনো সাহায্য ছাড়াই নিজের আসনে গিয়ে বসেন।

৮০ বছর বয়সি বাইডেন আমেরিকার সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে চান। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.