ঘুরতে যাওয়া ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এতে সড়ক-বিমান ও নৌপথে ভ্রমণ বেড়েছে। ফলে, ভ্রমণ কর থেকে এনবিআরের আয়ও বেড়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯ মাসে অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণ কর আদায় ৯৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬৯ কোটি টাকায় হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে কর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এ ছাড়া ২০২২ সালে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীর সংখ্যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেড়ে ৫০.৫ লাখ হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০ লাখ যাত্রী উড়োজাহাজে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। যা আগের বছরের ২০ লাখের চেয়ে ১৪৫ শতাংশ বেশি।
এদিকে সর্বশেষ ২০১৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্রমণ করের হার বাড়িয়েছিল। ৯ বছর পর আবারও আসন্ন বাজেটে ভ্রমণ কর বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে দেশের অভ্যন্তরে উড়োজাহাজে ভ্রমণকারীদের প্রথমবারের মতো করের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশগামী উড়োজাহাজ যাত্রীদের ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত বেশি কর দিতে হতে পারে।
এ ছাড়া সর্বশেষ ২০১৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্রমণ করের হার বাড়িয়েছিল। ৯ বছর পর আবারও ভ্রমণ কর বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এনবিআর’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এসব গন্তব্যে ভ্রমণের সময় একজন যাত্রীকে ৪ হাজার টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। তবে আগামী জুলাইয়ে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর থেকে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য করের পরিমাণ ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হতে পারে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের মতো অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলে উড়োজাহাজ যাত্রীদের টিকিটের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান ভ্রমণে কর হার ৫০ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার টাকা হতে পারে।
এদিকে বিমানের পাশাপাশি নৌপথের ক্ষেত্রে ভ্রমণ করের হার জনপ্রতি ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা হতে পারে। এছাড়া যারা সড়কপথে বিদেশ যাবেন তাদের বর্তমানে কর হারের দ্বিগুণ ১ হাজার টাকা দিতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.