এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামের শেষেও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বা ‘পিএলসি’ লিখতে হবে। আর পিএলসি লেখার জন্য আলাদাভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে।
পিএলসি লেখা কার্যকর করে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করলেই হবে। পরিবর্তিত নামের গেজেট প্রকাশের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে আবেদন দাখিল করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০ এর মাধ্যমে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ (১৯৯৪ সালের ১৮নং আইন)- এ সীমিতদায় কোম্পানি সনাক্তকরণ সংক্রান্ত নতুন ধারা ১১ক সন্নিবেশ করা হয়েছে। সন্নিবেশিত ধারার (ক) উপ-ধারাতে সীমিতদায় পাবলিক কোম্পানীর ক্ষেত্রে নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী’ বা ‘পিএলসি’ লেখার বিধান রাখা হয়েছে। উল্লিখিত বিধান পরিপালনার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নামের শেষে ‘পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী’ বা ‘পিলসি’ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোম্পানী (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২০ এর সন্নিবেশিত বিধান মোতাবেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিদ্যমান নামের শেষে সীমিত দায় বা লিমিটেড শব্দের পরিবর্তে “পাবলিক সীমিতদায় কোম্পানী” বা “পিএলসি” সংযোজন এবং সংঘ-স্মারক ও সংঘ-বিধি’র পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যাদি সম্পাদন করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রাধিকার প্রদান করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সংঘ-স্মারক ও সংঘ-বিধিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংশোধনের পর পরিবর্তিত নামে গেজেট প্রকাশের নিমিত্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিবর্তিত ও রেজিষ্ট্রিকৃত সংঘ-স্মারক, সংঘ-বিধি’র সার্টিফাইড কপি এবং আরজেএসসি কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রসহ এ বিভাগে আবেদন করতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসূচক/এমএইচ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.