শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে লভ্যাংশ জমা দিলো যমুনা অয়েল

শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।

গত ১৮ মে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর হাতে কোম্পানিটির প্রতিনিধিরা গত এক বছরে তাদের কোম্পানির লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেন।

এ সময় যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) মোহাম্মদ খসরু আজাদ, উপ-মহাব্যবন্থাপক (মানব সম্পদ) সৈয়দ শাহীদুল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিএলও) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এয়াকুব ও সিবিএ কার্যকারী সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মার্কেটিং বিভাগের ডিজিএম মো. খসরু আজাদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবের সাথে সাক্ষাত করে তাদের কোম্পানির গত এক বছরের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ ১ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ৩১০ টাকার চেক শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের বছর শেষে মোট লাভের ৫ ভাগের একদশমাংশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার এ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করেছে।

দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে বর্তমানে সাড়ে তিনশ’ কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে বিভিন্ন কোম্পানির দেয়া লভ্যাংশের পুঞ্জিভূত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮শ’ ৩০ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসার পাশাপাশি শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.