১ রানে হেরে কলকাতার বিদায়

শেষ ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। উইকেটে ছিলেন রিঙ্কু সিং ও ভাইভাব আরোরা। এবারের আইপিএলের গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষেও কলকাতাকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন। রিঙ্কুর দুই ছক্কা আর এক চারে ১৯ রান তুলে নিয়েছিল কলকাতা। এমন লড়াইয়ের পরও স্বাগতিকদের ১ রানে হারতে হয়েছে ম্যাচটিতে। এই জয়ের ফলে আইপিএলের প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ।

এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ভর করে। ৮ উইকেটে ১৭৬ রান সংগ্রহ করেছিল লক্ষ্ণৌ।জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছিল তারা। ১৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে ভেঙ্কাটেশ আয়ার ফেরেন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৪৫ রান করে আউট হয়ে যান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার জেসন রয়ও। কিন্তু এই দুজন ফেরার পর রান তোলার গতি ধরে রাখতে পারেননি নিতিশ রানা ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

যথাক্রমে ১০ বলে ৮ রান করে নিতিশ ও ১৫ বলে কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দুল ঠাকুররা ব্যক্তিগত সংগ্রহ নিতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরেও। এরপরের লড়াইয়ের পুরোটাই রিঙ্কু সিংয়ের। পুরো মৌসুমজুড়েই কলকাতার হয়ে দারুণ লড়াই করা এই ব্যাটার শেষ অবধি আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। অনেকটা একার লড়াইয়ে ৬ বলে ২১ রানের সমীকরণে দলকে নিয়ে আসেন তিনি।

শেষ ওভারের প্রথম বলে তার কাছে স্ট্রাইক দেন আরোরা। পরে দুটি ওয়াইড ও দুটি ডট দেন রিঙ্কু। তারপরের তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান তিনি। জয়ের জন্য অবশ্য যথেষ্ট হয়নি সেটি, হারতে হয় স্রেফ এক রানে। ৬ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে মাত্র ৩৩ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। এই ম্যাচে জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ক্রুনাল পান্ডিয়ার দল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.