চাহিদা বাড়ছে গ্যাস ও বিদ্যুতের: নসরুল হামিদ

অনেক গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলন বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে হয়। বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

শনিবার (২০ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, একটি গ্যাস কূপ খনন করতে ১০ থেকে ৫১ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। এর মধ্যে ১০টি কূপ খনন করলে ৩ থেকে ৪টি কূপে গ্যাস পাওয়া যায়। এরপরেও ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। প্রথমদিকে দেশীয় গ্যাসের কোনো মূল্য দেওয়া হতো না। বর্তমান সরকার আসার পর একটি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। বেশ কয়েকবছর আগে দেশীয় গ্যাস দিয়ে সার তৈরি করা হতো। কারণ তখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল খাতে গ্যাসের তেমন চাহিদা ছিলো না। সারের পরে এসব গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলো। তবে বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রি খাতে গ্যাসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে। এর ফলে এসব যায়গায় গ্যাস সংযোগ দিতে অনেক সমস্যা হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ২ হাজার ৯০৭ এমএমসিএফডি গ্যাসের সাপ্লাই রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি গ্যাস খরচ হয়। বিদ্যুৎ খাতে মোট গ্যাসের ৪২ শতাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রি খাতে ব্যবহার হচ্ছে ১৮ শতাংশ। সার উৎপাদনে ৬ শতাংশ, সিএনজিতে ৩ শতাংশ এবং কমার্শিয়াল অ্যান্ড চা খাতে ১ শতাংশ গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.